২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৪২:২৪ অপরাহ্ন


গর্ভধারিণী মাকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দিল ছেলে
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৬-২০২২
গর্ভধারিণী মাকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দিল ছেলে গর্ভধারিণী মাকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দিল ছেলে,


শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গর্ভধারিণী মাকে কুপিয়ে ও আঘাত করে হত্যার পর মরদেহ ভোগাই নদীতে ফেলে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলে ফারুক হোসেনকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩ জুন) ভোররাতে পৌর শহরের নিজপাড়া মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের নিজপাড়া মহল্লার মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী দিনমজুর নূরভানু (৫৫ ) তার ছেলে ফারুক হোসেনকে নিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতেন। অপর ছেলে মনির হোসেন ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ফারুক মানসিকভাবে কিছুটা অস্বাভাবিক হওয়ায় প্রায়ই তার মাকে মারধর করত।

প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার মা ও ছেলে তাদের ঝুপড়ি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে রাতের কোন এক সময় দা দিয়ে কুপিয়ে, শীল ও বেলনা দিয়ে আঘাত করে মাকে হত্যার পর মরদেহ টেনে পাশের নদীতে ফেলে রাখে। শুক্রবার ভোরে স্থানীয়রা মা নূরভানুর রক্তাক্ত মরদেহ বাড়ির পাশের ভোগাই নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

পরে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় অভিযুক্ত ছেলে ফারুক পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয় এবং নদী থেকে মা নূরভানুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, এ ঘটনায় নূরভানুর ভাই শরিয়ত উল্লাহ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেইসাথে অভিযুক্ত ছেলে ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দা, শীল ও বেলনা জব্দ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।

রাজশাহীর সময়/এ