২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন


রাজাকার পুত্রকে ব্যানারের সামনে থেকে সড়ে দেওয়ায় ক্ষেতলাল উপজেলা আ"লীগ সভাপতির উপর হামলা
নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২২
রাজাকার পুত্রকে ব্যানারের সামনে থেকে সড়ে দেওয়ায় ক্ষেতলাল উপজেলা আ"লীগ সভাপতির উপর হামলা রাজাকার পুত্রকে ব্যানারের সামনে থেকে সড়ে দেওয়ায় ক্ষেতলাল উপজেলা আ"লীগ সভাপতির উপর হামলা


জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিমকে রাজাকার পুত্রের সমর্থকদের দ্বারা অতর্কিত হামলা ও লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি ইটাখোলা বাজারে পার্শবর্তী একটি ব্যবসায়ীক গদিঘরে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।

জানা গেছে,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪ জুন শনিবার সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটুক্তি ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতির সময় ব্যানারে সামনে থাকা না থাকা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাইফুল ইসলাম তালুকদার ক্ষেতলাল পৌরসভার কাউন্সিলর জুলফিকার আলী চৌধুরীকে রাজাকার পুত্রকে মিছিলের ব্যানারের সামনে থেকে সড়ে যেতে বলেন। জুলফিকার আলী চৌধুরী।

এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাক বিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়। পরে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুলফিকার আলী চৌধুরীর সমর্থকরা ইটাখোলা বাজারে লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান করছিলেন এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম তার কর্মী সমর্থকদের সাথে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় ইটাখোলা বাজারে পথ রোধ করে সভাপতিকে মারপিটও ৫ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এমন অবস্থাতে প্রাণে রক্ষা পেতে নাদিম তালুকদার ইটাখোলা বাজারে একটি ব্যবসায়িক গদিঘরে আশ্রয় নেন রক্ষা পান।

পরে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাদিম তালুকদারকে উদ্ধার করে তার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। এ নিয়ে ক্ষেতলাল উপজেলাসহ জেলা জুড়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা। আওয়ামী লীগ সমর্থক অনেকেই বলছেন, এধরনের বিশৃঙ্খলা দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রাজাকার পুত্র জুলফিকার আলী চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বা তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সদস্য তাইফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমি তাকে ধাক্কা প্রদান করিনি। তালিকা ভূক্ত রাজাকার পুত্র হওয়ায় তাকে ব্যানারের কাছ থেকে সড়ে যেতে বলেছি মাত্র।

ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, মিছিলের প্রস্তুতির সময় আমি ও সভাপতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। কিছু যদি হয়ে থাকে তা হলে আমাদের যাওয়ার আগে হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়েছেন।

আমি সভাপতি হওয়ার পূর্বে যে সব তালিকা ভূক্ত রাজাকার পরিবারের সন্তানরা দলীয় সুযোগ সুবিধা ভোগকরে আসছিল নতুন কমিটি আসার পর সে সব তালিকা ভূক্ত রাজাকার পরিবার বা তার সন্তানরা দলীয় সুযোগ সুবিধা নিতে পারবে না। তারই অংশ হিসেবে ক্ষেতলালে কুক্ষাত রাজাকার ময়েন উদ্দিনের পুত্র জুলফিকার আলী চৌধুরীকে ব্যানারের কাছ থেকে দুরে যেতে বলা হয়েছে।পরে আমি ও আমার দলীয় লোকজনসহ বাড়ী ফেরার পাথে কুক্ষাত রাজাকার পরিবারের সন্তানরা আমার উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমার লোকজনের ৫ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও বেশ কয়েক জনকে আহত করেছে।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন ইয়াজদানী বলেন,ইটাখোলা বাজারে সভাপতিকে নিয়ে একটি অনাকাংঙ্খিত পরিস্থিতির উপক্রম হলে থানা পুলিশ গিয়ে তা প্রতিহত করে। এ বিষয়ে এখন কোন অভিযোগ মামলা হয়নি।