২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন


মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি! মাদক সম্রাট রুবেল ছোয়ার বাইরে
এম.এইচ রনি, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৬-২০২২
মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি! মাদক সম্রাট রুবেল ছোয়ার বাইরে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি! মাদক সম্রাট রুবেল ছোয়ার বাইরে


মাদক পুরোপরি নিমূল হবে না। তবে প্রশাসনিক অভিযানের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। এমন কথা পুলিশের মুখে হরহামেশাই শোনা গেলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। রাজশাহী মহানগরীর যে সকল এলাকায় মাদক বিক্রি হতো। আজও হচ্ছে। সেই সাথে কমেনি বরং বেড়েছে মাদক কারবারি আর মাদক সেবির সংখ্যা। এর মধ্যে মাদকে ভাসছে গুড়িপাড়া, পাচানিমাঠ, খরবোনা, তালাইমারী। পুরো মতিহার থানা অঞ্চল ও  কাটাখালি থানা অঞ্চল। 

এই পর্বে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা অঞ্চলের মাদকের চিত্র তুলে ধরা হলো: পুরো শিরোইল কলোনী এলাকায় চলছে মাদকের লাগাহীন কেনা বেঁচা। এই থানায় এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি। 

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসাম কলোনী, ডাবতলা, রবের মোড়, বৌ-বাজার, শিরোইল কলোনী এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি। দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই হাত বাড়ালে মেলে সকল প্রকার মাদক। এর মধ্যে অন্যত্তম গাঁজা, ফেনসিডিল হেরোইন, ইয়াবা। সেই সাথে চলছে আইপিএল-এর রমরমা জুয়ার আসর।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ আসে এলাকায়। কিছু চিহ্নিত দালালদের ডেকে আড়ালে কথা বলেন। আবার চলে যায়। কিন্তু চিহিৃত মাদক কারবারিরা ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যায়। তারা বলেন বর্তমানে মাদকের চিত্র এতই ভয়ংকর। যে প্রত্যেকটি পরিবারের অভিভাবকরা তাদের উঠতি বয়সি কিশোর-যুবক সন্তানদের নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকেন। কখন সঙ্গো দোষে জড়িয়ে পড়ে মাদক সেবনের সাথে এমন চিন্তা যেন তাদের কখনই পিছু ছাড়া না। 

আসাম কলোনী রবের মোড় এলাকার কারবারি হলো: মাদক সম্্রাট রুবেল ও তার সহযোগীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের কারবার। কানার মোড়ের আসলামের স্ত্রী ইয়াবা কারবারী মাজেদা, সুজ্জল জেলে থাকলেও তার স্ত্রী হেরোইনের কারবার চালাচ্ছে নিলা।

আসাম কলোনী ডাবতলা এলাকার মাদক কারবারি হলো: মধু, সোনিয়া, খাইরুল ও তার স্ত্রী শ্যমলী। ইউসুব আবাসিকের খয়েরের ছেলে সাইদুর ও একই এলাকার ইন্দার জামাই  শুভ। 

এই সকল মাদক কারবারিরা কখনো নিজ হাতে মাদক বিক্রি করে আবার কেউ কেউ নাবালক শিশুদের হাত দিয়ে মাদক সেবিদের কাছে পৌঁছে দেয় মাদক। 

স্থানীয়রা আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান নেই বললেই চলে। আর এ জন্যই হয়তো তারা প্রকাশ্যে চালাচ্ছে মাদকের কারবার। এখনই যদি তাদের লাগাম টেনে ধরা না হয়। তা হলে অচিরেই প্রকাশ্যে তারা মাদকের দোকান খুলে বসবেন বলেও জানানি তারা।