২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন


নারায়ণগঞ্জে জুম্মার বয়ানে বাধা দেওয়ায়, পুলিশ কর্মকর্তাকে গনধোলায়
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৬-২০২২
নারায়ণগঞ্জে জুম্মার বয়ানে বাধা দেওয়ায়, পুলিশ কর্মকর্তাকে গনধোলায় নারায়ণগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তাকে গনধোলায়


নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকায় অবস্থিত আদমজী শাহী জামে মসজিদ। শুক্রবার (১০ জুন) জুমার নামাজের বয়ান চলাকালিন সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা ইমাম সাহেবের বয়ান থামিয়ে দিয়ে বলেন ,"ভারতে কি হচ্ছে সেটা ভারতের বিষয়,এ নিয়ে আমাদের মাতামাতি করার প্রয়োজন নেই"

এ বক্তব্যের জের ধরে তাকে মারধর করেছেন বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা। প্রথমে কথা-কাটাকাটি, পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গনধোলাই দেয়। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মসজিদ কমিটির উদ্ধার করে সভাপতি জয়নাল আবেদীন মাস্টারের বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে সেখানেও মারধর করে উত্তেজিত জনতা।
খবর পেয়ে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথম নগরীর সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মুসল্লিরা। এ নিয়ে মসজিদে ইমাম বক্তব্য রাখছিলেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে ভারতের প্রসঙ্গ এলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ‘ভারতের বিষয় ভারতে থাকুক, এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা আমরা না করি’।
তার এ কথায় ক্ষুব্ধ হন মুসল্লিরা। এ নিয়ে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করেন মুসল্লিরা। এ সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিনও আহত হন। তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদমজী জামে মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, জুমার নামাজের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ আজিজুল হক মাইকে বলেন, ভারতের ইস্যু ভারতেই থাকুক; আমাদের এখানে না আনি। এর জের ধরে আমরা নিজের দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা না করি। একথা শুনে মুসল্লিরা তার ওপর হামলা করেন। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে মসজিদের সেক্রেটারি বিল্লাল হোসেন রবিন আহত হন। পরে তারা দুজন এসআই আজিজকে উদ্ধার করেন।
কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি বলেন, আমাকে এলাকার লোকজন বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ওসির সহযোগিতায় আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা মর্মাহত। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আহত এসআইকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহীর সময়/ এজেড