২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৩৮:৩১ পূর্বাহ্ন


এসএসসি পরীক্ষায় বসছে না প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২২
এসএসসি পরীক্ষায় বসছে না প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ফাইল ফটো


রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে রেজিস্ট্রেশন করেছে কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেনি ২৯ হাজার ৮৮০ জন শিক্ষার্থীর। ফলে, তারা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় বসছে না। এ ধরণের পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় শীর্ষে বগুড়া এবং নি¤েœ জায়পুরহাট জেলা। শিক্ষার্থীরা ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড বলছে, এসএসসি পরীক্ষা শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হবে পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ না করার কারণগুলো। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা বলছেন, করোনার সময় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। করোনার দুই বছরে অনেক ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। আবার কেউ কেউ স্বজনও হারিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ আবার অর্থের অভাবে পড়াশোনা বাদ দিয়ে জীবিকার তাগিদে কাজ করছেন। এতে ফরম পূরণ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আরিফুল ইসলাম এসএসসির কেন্দ্র সচিবদের সাথে মতবিনিময় সভায় জানান, এবছর এসএসসি পরীক্ষায় বসবে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী। ছাত্র ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ জন এবং ছাত্রী ৯৫ হাজার ৬৫ জন। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৮৭ হাজার ৬৮৪ জন, মানবিক ৯৯ হাজার ৫৮২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৪ জন শিক্ষার্থী। রাজশাহী বিভাগের অধীন ৮টি জেলার মোট পরীক্ষার কেন্দ্র সংখ্যা ২৭০টি। আর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৬৭৬টি। এবছর নিবন্ধিত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজার ১৩১জন। ফরম পূরণ করেছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৫১জন। ২৯ হাজার ৮৮০জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেনি।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ২৯ হাজার ৮৮০ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেনি। তারা কেনো ফরম পূরণ করলো না এটি জানা অনুসন্ধানের ব্যাপার। করোনার ব্যপার ছিল। অনেকেই অটোপাসের কথা ভেবেছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী পাটকল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান  জানান, করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপরে একটা বড় ধরনের ধকল গেছে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। তাতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা থেকে সড়ে গেছে। সেসব শিক্ষার্থীদের আবার স্কুলে নিয়ে আসতে ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়েছে শিক্ষকদের।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মুঞ্জুর রহমান খান জানান, কারণ হিসেবে আমরা মনে করছি বাল্য বিয়ে, আর্থিক কারণ। তবে অর্থিক কারণ খুব একটা বেশি না। করোনার কারণে লেখাপড়ার ধারা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেই। পরীক্ষার পরে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দেবো জানতে চাইবো কারণ। এরপরে বিষয়টি আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না যে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হোক। আমরা চাই সব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসুক। এ বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তাদের শিক্ষা বোর্ডকে লিখিতভাবে জানাতে হবে, যেকেনো পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলো না।

রাজশাহীর সময়/এএইচ