২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:০১:৪৪ অপরাহ্ন


ডোমারে সাংবাদিক দম্পতির বাসায় ডাকাতি, ১০ লাখ টাকা স্বর্ণের গহনাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারীর
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৬-২০২২
ডোমারে সাংবাদিক দম্পতির বাসায় ডাকাতি, ১০ লাখ টাকা স্বর্ণের গহনাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র  চুরি ডোমারে সাংবাদিক দম্পতির বাসায় ডাকাতি, ১০ লাখ টাকা স্বর্ণের গহনাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি


ডোমারে সাংবাদিক দম্পতি  দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপক ও মানবকন্ঠের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাওছার আল হাবীব ও দৈনিক খোলা কাগজের সহ- সম্পাদক নুরে রোকসানা সুমির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

আজ (শুক্রবার) রাতে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুর্ব চিকনমাটি হুজুর পাড়ায় পৈতৃক বাড়িতে  এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বাড়িটির তার অংশ ছোটভাই কামরুল হাসানের কাছে পারিবারিক সমাঝোতায় বিক্রি দেন। ফলে নীলফামারী শহরে বাড়ি করতে জমি ক্রয়ের আলোচনা চলছিল।  এ অবস্থায় ছোটভাইয়ের কাছে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বাড়ি বিক্রির টাকা চাইলে তার ছোটভাই তার ভাগের জমি-জমা বন্দক দেন এবং পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ব্যাংক ডিপিএস ভেঙে ৪ লাখ টাকা তার মাকে দেন। অন্যদিকে তার মায়ের কাছে টাকা ধার চাইলে উনিও ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা তুলে এনে মোট ৭ লাখ টাকা ঘরের একটি ট্রাঙ্কে রাখেন। 

এছাড়া আগামী দুই একদিনের মধ্যে তার ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্লীর স্বামী মোকতার আলী চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার কথা। এর কারণে তার ছোট বোনও পোষ্ট অফিসের ডিপিএস ভেঙে ৩ লাখ টাকা এনে মায়ের কাছে দেন। ঐ টাকাও ট্রাঙ্কে রাখেন।

এরমধ্যে তার মায়ের শরীর খারাপ হলে কাওছারের বড়বোন  নুরজাহানের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। এ সুযোগে রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝে কে বা কারা রুমের দরজার লক কেটে ঢুকে শোকেজে থাকা চাবী নিয়ে ট্রাঙ্ক খুলে ১০ লাখ টাকা, তার মা ও ছোট বোনের স্বর্ণে গহনাসহ জমির দলিলপত্র ও ব্যাংকের কাগজপত্রসহ দামী আসবাবপত্র নিয়ে যায়।

এসময় বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া আশা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা রুবেল বলেন, বৃষ্টির কারণে ডাকাতির ঘটনাটি বুঝতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, ফজরের সময় রুম থেকে বের হতে গিয়ে দেখতে পাই বাহির থেকে দরজা লক করা। পরে তারা রাস্তা দিকে বেলকুনির দরজা দিয়ে বের হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে দেখতে পান কাওছারের মায়ের রুমের দরজার লক কাটা এবং দরজা খোলা।

তাৎক্ষণিক তার মাকে ফোন দিয়ে জানালে তার বোনসহ এসে দেখতে পান ট্রাঙ্কে রাখা ১০ লাখ টাকা, গহনা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নেই।

কাওছার আল হাবীবের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ট্রাঙ্কের ভেতরে আলাদা আলাদা করে ৪ লাখ, ৩লাখ এবং আরো ৩ লাখ টাকা তিন ভাগে রেখে দেই। দুই একদিনের ৭লাখ টাকা কাওছারের একাউন্টে পাঠানোর কথা এবং ছোট মেয়ের জামাইয়ের চিকিৎসা বাবদ রেখে দেওয়া বাকী ৩ লাখ টাকা ছোট মেয়েকে দেওয়ার কথা। এরইমধ্যে কে এমনটি করলো বুঝে আসে না।

ডাকাতি ঘটনা শুনে ঢাকা থেকে কাওছার আল হাবীব ডোমার থানা পুলিশকে অবগত করলে এস আই ওসমানের নেতৃত্ব কয়েকজন পুলিশ সাংবাদিকদের উপস্থিততে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পরিবারের সদস্য ও এলাকার গণ‍্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে তারা কথা বলেন।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডোমার থানার ওসি বলেন,  আমরা শুনা মাত্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত  ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, স্বদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপক ও মানবকন্ঠের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাওছার আল হাবীব ও তার স্ত্রী খোলা কাগজের সহ-সম্পাদক নুরে রোকসানা সুমি ঢাকায় বসবাস করেন।