২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:১০:৪৫ অপরাহ্ন


পাবনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী পিন্টু কারাগারে
এস,এম, জহুরুল হক (পাবনা প্রতিবেদক) :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৬-২০২২
পাবনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী পিন্টু কারাগারে পাবনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী পিন্টু কারাগারে


পাবনা ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকারিয়া পিন্টুকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সোমবার(২৭ জুন) দুপুরে পাবনা আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে পাবনা জেলা হাজতে প্রেরণ করেন।

গত ২৫ জুন (শনিবার)কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকারিয়া পিন্টুকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-২। ২৬ জুন (রবিবার) তাকে রাতেই পাবনা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্তা জনিত কারনে তাকে রাতেই জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। পিন্টু পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারখালী কাঁচাপরীপাড়া মহল্লার মৃত, আব্দুস ছামাদের ছেলে। আটককৃত পিন্টু ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। 

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ২০১৯ সালে ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ আদালত। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টরু এই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মোট ২৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী তিনি।

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পথসভা করার কথা থাকলেও বর্ণিত আসামী বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার আন্যান্য আসামীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ^রদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড দেন আদালত। সেইসঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদন্ড ঘোষণা করা হয়।