২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৬:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন


কর্মমুখর রাজশাহীর কামারপাড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৭-২০২২
কর্মমুখর রাজশাহীর কামারপাড়া কর্মমুখর রাজশাহীর কামারপাড়া


কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহীর কামারদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির পশু জবাইসহ কাটাকুটিতে ধারালো দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি, চাকুসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে এখন কর্মমুখর হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বাঘার কামার সম্প্রদায়।

জানা যায়, কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহা ছন্দোময় পিটাপিটিতে শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় তৈরি যন্ত্রপাতি খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাহিদা মাফিক সরবরাহ করতেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

এসব সরঞ্জাম তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কামার সম্প্রদায়ের শতাধিক লোকজন। এ সময়টাই একটু বেশি উপার্জনের আশায় বিশ্রাম বাদ দিয়েই ক্রেতাদের পছন্দ মতো মাংস কাটার যন্ত্রপাতি তৈরি করে চলেছে কামাররা। ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতেও ভিড় বাড়াচ্ছে। তাদের ঢুং, ঢাং, টুং টাং শব্দে ভোরেই ঘুম ভাঙছে দোকানের আশেপাশের এলাকার মানুষের।

অন্যদিকে ভ্রাম্যমান শানদানিরা গ্রামে ঘুরে ঘুরে কোরবানি দাতাদের পুরোনো সরঞ্জাম শান দেয়ারও কাজে নেমেছে। অপরদিকে পশু কোরাবানি করার সরঞ্জাম কিনতে কামারদের কাছে ছুটছেন অনেকে।

উপজেলার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, আকার ভেদে প্রতি পিস ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৫০-১৫০ টাকা, চাপাতি ৫০০-৬০০ টাকায় এবং বঁটি ২৫০-৬০০ টাকা।

উপজেলায় দিঘা বাজার, বাউসা বাজার, তেথুঁলিয়া বাজার, মনিগ্রাম বাজার, বাঘা বাজার, নারায়ণপুর বাজার ও বাড়িতে কামার সম্প্রদায় প্রায় শতাধিক লোক কাজ করে।

বাঘা মাজার গেটে খুচরা কোরবানির পশু জবাই যন্ত্র বিক্রেতা বিপ্লব জানান, আমি এখানে সব সময় এগুলো বিক্রি করি। তবে কোরবানির ঈদের সময় বেশি বিক্রি হয়।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী সরকার বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ে কামাররা বেশি ব্যস্ত হয়ে যায়। এই সময় তাদের দাহিদাও বেশি হয়।

রাজশাহীর সময়/এএইচ