১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:৫২:৫৩ অপরাহ্ন


সম্পত্তির লোভে বাবাকে মেরে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিলো ছেলে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৭-২০২২
সম্পত্তির লোভে বাবাকে মেরে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিলো ছেলে সম্পত্তির লোভে বাবাকে মেরে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিলো ছেলে


সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ছেলেদের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের বলপাই অঞ্চলের পেরুয়া গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম সুভাষ প্রামাণিক (৬০)। প্রতিবেশীদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ হওয়ার ২৫ দিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন ছোট ছেলে শুভঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী। বড় ছেলে দীপক পলাতক।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য সুভাষবাবুর ওপর দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিচ্ছিল ২ ছেলে। মা - বাবাকে মারধর করত তারা। সঙ্গে যোগ দিত সুভাষবাবুর ভাই ও ভাইয়ের বউ। যার জেরে মাস দুয়েক আগে সুভাষবাবুর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। তার পরও থামেনি অত্যাচার। গত ১৬ জুন সম্পত্তি লিখে দেওয়ার দাবিতে সুভাষবাবুকে ব্যাপক মারধর করে ২ ছেলে ও ভাই। তার পর থেকে বৃদ্ধের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। 

বাবা কোথায় তা নিয়ে প্রতিবেশীদের প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি ছেলেরা। এর পর সুভাষবাবুর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রতিবেশীরা। জানতে পারেন, তাদের কারও কাছে যাননি তিনি। সন্দেহ দানা বাঁধতে সুভাষবাবুর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ৫ জন প্রতিবেশী। এর পর তদন্ত শুরু করে সবং থানার পুলিশ।

সুভাষবাবুর ২ ছেলেকে ডেকে পাঠায় তারা। জেরায় উঠে আসে ১৬ জুন মারধরে বাবার মৃত্যু হয়। এর পর দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয় তারা। সোমবার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সুভাষবাবুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর ছোট ছেলে ও ছেলের বউকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। আটক করা হয়েছে মৃতের এক বোন ও নাতিকে।