১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪৯:২৫ অপরাহ্ন


১৫ বছরের প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেললেন স্বামী !
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৭-২০২২
১৫ বছরের প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেললেন স্বামী ! ১৫ বছরের প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেললেন স্বামী !


সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মানুষ আগের তুলনায় অনেক সচেতন হলেও এর ভুল ব্যবহার কিন্তু পরিবার এবং সমাজের বড়সড় ক্ষতি করে দেয়। সম্প্রতি প্রায়ই এমন ঘটনা সামনে এসেছে। এবার যেমন বিহারের জামুই জেলার একটি গ্রাম থেকে এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে ৩৫ বছর বয়সী দুই সন্তানের মা এক ১৫ বছরের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।

এর মাধ্যমে দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক এতটাই দানা বাঁধে যে ছুটে আসে ওই বছর পনেরোর নাবালক। এর পর ওই মহিলা তাঁর স্বামীর কাছে ছেলেটিকে নিজের বাপের বাড়ির আত্মীয় জানিয়ে বাড়িতে থাকতে দেন। পরে রাতের বেলা ওই মহিলার স্বামীর সন্দেহ হওয়ায় মহিলার পিছু নিলে তাঁর স্ত্রীকে ছেলেটির সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে ফেলেন। এর পরেই শুরু হয় হট্টগোল। গ্রামের অন্যান্যরা ওই মহিলা এবং ছেলেটিকে গ্রামের মন্দিরের সামনে নিয়ে আসেন এবং প্রকাশ্যে মারধর করেন। এমতাবস্থায় স্বামী ও গ্রামবাসীর হাতে মহিলা ও তাঁর ১৫ বছরের প্রেমিককে মারধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ছটেছে জামুই জেলার নগর থানার হারলা গ্রামে।

বলা হচ্ছে, জামুইতে বসবাসরত ৩৫ বছর বয়সী ওই দুই সন্তানের মা ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট করতে গিয়ে জেহানাবাদ নিবাসী ইন্টার ক্লাসের ছাত্র ১৫ বছর বয়সী এক ছেলের প্রেমে পড়েন। তথ্য অনুযায়ী, ওই মহিলা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেসেঞ্জারে ভিডিও চ্যাট করতেন। এদিকে রোববার ওই মহিলা ছেলেটিকে বাড়িতে দেকে এনে তাকে কাজের পরিচিত লোক বলে স্থান দেন। এর পর গভীর রাতে ছেলেটির সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় তাঁর স্বামী দেখে ফেলেন মহিলাকে।

এর পর গ্রামের মন্দিরের সামনে মহিলার স্বামী ও গ্রামবাসীরা দু'জনকেই বেধড়ক মারধর শুরু করেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মহিলা ওই ছেলেটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এবং সবাই মিলে তাঁদের দু'জনকেই মারছেন। মারধরের বিষয়টি গ্রামের কর্মকর্তাদের সামনে আসার পর গ্রামের প্রধান ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে বিষয়টি শান্ত হয়। এর পর ছেলেটির পরিবারের সদস্যদেরও বিষয়টি জানানো হয়।

এখানেই শেষ নয়, গ্রামবাসীরা ছেলেটির পরিবারকে বিষয়টি জানানোর পর ছেলেটির পরিবার লিখিত মুচলেকা দিতে বাধ্য হয়েছে যে ছেলেটি এই গ্রামে আর আসবে না। এবিষয়ে নগর থানার অধ্যক্ষ চন্দন কুমার সিংহের সঙ্গে কথা বলা হলে পুলিশ সরাসরি এধরনের তথ্য অস্বীকার করেছে।