১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১২:০২:৩৪ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে ধরা রেল কর্মচারী জিয়া, স্ত্রীর মুচলেকায় ছাড়
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২২
রাজশাহীতে টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে ধরা রেল কর্মচারী জিয়া, স্ত্রীর মুচলেকায় ছাড় রাজশাহীতে টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে ধরা রেল কর্মচারী জিয়া, স্ত্রীর মুচলেকায় ছাড়


রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল রেল স্টেশনে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট বিক্রির সময় জিয়া (৩৬) নামের এক রেল কর্মচারীকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) গোয়েন্দা সদস্যরা। এসময় তার কাছ থেকে রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের ৫টি টিকিট জব্দ করা হয়। 

আটক জিয়া রাজশাহী নগরীর রেল কলোনীর আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। 

সোমবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়ার আগ মুহূর্তে স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে স্ত্রীর মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। 

রেল কর্মচারীর জিয়াউর রহমান, তিনি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে বার্তা বাহক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, রেলের টিকিট কালোবাজারি রোধে সোমবার রাতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আরএনবির গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় সন্দেহজনক চলাফেরা করা অবস্থায় জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করতে থাকে গোয়েন্দা টিম। পরে প্লাটফর্মে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন প্রবেশ করার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সঙ্গে টিকিটের দামদর ঠিক করার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জব্দ টিকিট নিয়ে অসামঞ্জস্য কথা বলতে থাকে জিয়া। এক পর্যায়ে নিজেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের ঘনিষ্টজন বলেও দাবি করেন তিনি। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আরএনবি (গোয়েন্দা) রাজশাহীর ইনচার্জ উজ্জ্বল হোসেন। তিনি বলেন, অফিসিয়ালভাবে রেল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়াও তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

পরে মুচলেকার মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর  তার স্ত্রীর মাধ্যমে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। জিয়ার স্ত্রীও রেলেই চাকরিরত বলেও জানান তিনি। 

এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার ঢাকা বলেন, বিষয়টি রেল বিভাগীয় হওয়ায় আমরা বিভাগীয় অ্যাকশনে যাচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করছি। 

তিনি বলেন, রেল কর্মচারী হয়ে টিকি কালোবাজারি এটা প্রতরনার সামিল। এইরকম টিকিট কালোবাজারি রেলের কেউ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বা সাধারণ কেউ হলে পুলিশে দেওয়ার বিধান রয়েছে। সরকারি চাকরিত হওয়ায় সে সাস্পেনশনে আছে। 

আদালতে সোপর্দ না করার কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, আমাদের রুলসে বিষয়টি অসদাচরণ হিসেবে দেখা হয়। তাই রেলের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখানে ব্যত্যয় হলে আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে।