১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১০:২০:১৬ অপরাহ্ন


বাগমারায় জামাইকে মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা
এস,এম জাহাঙ্গীর ,বাগমারা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৭-২০২২
বাগমারায় জামাইকে মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা ফাইল ফটো


রাজশাহী বাগমারা উপজেলার বীরকুৎসা গ্রামে নিজের ভ্যানে করে মেয়ে মরদেহ প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরের থানায় নিয়ে যান ভ্যানচালক বাবা।মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে একই দিন দুপুরের দিকে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এর আগে সোমবার (১৮ জুলাই) বীরকুৎসা গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের নির্দেশে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়ের মরদেহ থানায় পৌঁছে দেন আবদুল মালেক।

নিহতের নাম হোসনেয়ারা খাতুন (১৬)। তিনি বাগমারা উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক আবদুল মালেকের মেয়ে।অভিযুক্ত স্বামী বীরকুৎসা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে রানা ইসলাম।

পুলিশ সূত্র জানায়, প্রায় সাত মাস আগে রানার সঙ্গে হোসনেয়ারার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের আগে রানা ও হোসনেয়ারা একে-অপরকে পছন্দ করতেন। কিন্তু বিয়ের পর তিক্ততা শুরু হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুরু হয় মনোমালিন্য।

নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণে হোসনেয়ারা ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নিহতের বাবার অভিযোগ, মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন জামাই রানা ইসলাম। পরে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। শেষে ঘরের বারান্দায় মরদেহ ফেলে রানা ও তার মা-বাবা পালিয়ে যান। এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে মরদেহে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে সময় লেগে যায় পুলিশের।

এ বিষয়ে বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুর রহমান জানান, কোনো গাড়ি না পাওয়ায় সোমবার রাতে নিহত হোসনেয়ারা খাতুনের বাবার ভ্যানে করে মরদেহ থানায় আনা হয়। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে নিহতের বাবা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।

রাজশাহীর সময়/এ