২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫২:৪১ অপরাহ্ন


পুঠিয়াতে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি ভাংচুর, মামলা করে ঘর ছাড়া পরিবার
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৭-২০২২
পুঠিয়াতে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি ভাংচুর, মামলা করে ঘর ছাড়া পরিবার পুঠিয়াতে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি ভাংচুর, মামলা করে ঘর ছাড়া পরিবার


রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় রামকৃষ্ণপুর গ্রামে জমির বিরোধের জেরে বোরহান উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় বাড়ি ভাংচুর করে টাকা ও স্বর্ণসহ প্রায় ১১ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারিরা।

গত শুক্রবার সকালে এ ঘটনার পরে বোরহানের স্ত্রী আয়েশা খাতুন বাদি হয়ে ২৩ জুলাই শনিবার পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ও প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে গত ৪ দিন যাবত বাড়ি ছাড়া ওই পরিবারের সবাই।

জানা গেছে, জমি নিয়ে পুঠিয়া গোটিয়া গ্রামের আকবর আলীর পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহীন, লায়েব ও আনোয়ার হোসেন দলিল মাস্টারদের সাথে। শত্রুতার জেরে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ শাহীন ও আরমানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন আকবর আলীর মেয়ে জামাই বোরহান উদ্দিনের উপরে হামলা চালায়। এসময় সে তার শ্বশুর গোটিয়া গ্রামের আকবর আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই তাকে চাপাতি দিয়ে মাথায় ও শরীরে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সে বর্তমানে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময় হামলাকারিরা বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং জমি বিক্রি করা বাড়িতে থাকা টাকা ও স্বর্ণসহ প্রায় ১১ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারিরা।

ঘটনার পর থেকে তারা বাড়িতে ফিরতে পারছে না। নিজ বাড়ি ছেড়ে সন্ত্রাশীদের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে বোরহানের শ্বশুরের পরিবার পাশের গ্রামে গত তিন দিন যাবত আশ্রয় নিয়েছে।

আহত বোরহানের স্ত্রী আয়েশা খাতুন জানান, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের হামলার শিকার হয়ে আমার স্বামী এখন মৃত্যু শয্যায়। প্রাণ বাঁচাতে আমরা পালিয়ে পাশের গ্রামের একটি বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। আমরা শাহীন ও লায়েবকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারটি এখনও পাশের গ্রামে আছে। বাড়ি ফিরতে আমরা অভয় দিয়েছি।

রাজশাহীর সময়/এ