১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৪১:০৯ পূর্বাহ্ন


সবাইকে হারিয়ে বেঁচে রইলেন শুধু নবদম্পতি
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৮-২০২২
সবাইকে হারিয়ে বেঁচে রইলেন শুধু নবদম্পতি সবাইকে হারিয়ে বেঁচে রইলেন শুধু নবদম্পতি


বৌভাত খেয়ে প্রাইভেটকারে করে নবদম্পতিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্বজনরা। পথিমধ্যে উত্তরার জসীম উদ্‌দীন মোড় সংলগ্ন সড়কে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে নিহত হন ৫ জন। প্রাইভেটকারে ৭ আরোহীর মধ্যে শুধু বেঁচে যান বর হৃদয় (২৫) ও নববধূ রিয়া মনি। শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় তাদের।

প্রাইভেটকারে আরোহীদের মধ্যে ছিলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। শুধু বেঁচে যান হৃদয় ও রিয়া। তাদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, গত শনিবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। তারা আজ ছেলের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখান থানার কাওলা আফিল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আর কনে রিয়া মনির বাড়ি আশুলিয়ার খেজুরবাগানে আসরাফউদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায়।

হৃদয়ের চাচাতো ভাই রাকিব জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। কিন্তু এতো সময় পরও গাড়ি থেকে মরদেহগুলো বের করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ভেতরে যদি কেউ বেঁচে থেকেও থাকেন তাহলে এতোক্ষণে মারা গেছেন।

রাকিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার কীভাবে এ অব্যবস্থাপনার মধ্যে কাজ করছে? আমরা কার কাছে বিচার দেব! আমাদের অন্তত লাশগুলো বের করে দিক। কিন্তু এখানে তো কোনো উন্নত যন্ত্রপাতি নেই।

এর আগে বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার ক্রেন উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এ সময় হৃদয় ও রিয়া মনিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গাড়ির মধ্যে আটকে থাকা বাকি পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।

গত ১৫ জুলাই গাজীপুরে একই প্রকল্পের ‘লঞ্চিং গার্ডার’ চাপায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক ও একজন পথচারী আহত হন।