২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন


৭টি ধরনের মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারে হন সর্তক
এম ‍সিয়াম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৮-২০২২
৭টি ধরনের মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারে হন সর্তক ৭টি ধরনের মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারে হন সর্তক


দেখেও না দেখেন, শুনেও না শুনেন তখন ক্ষতি হয়ে গেলে কিন্তু আপনার আর করার মতো কিছু থাকবে না। তাই এই ৭ ধরনের মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের আপনার অবশ্যাই সর্তক থাকা উচিত:

১. অপটিমাইজেশন অ্যাপস: র‌্যাম বুশটার, স্পীড বুশটার, স্পীড অপটিমাইজার ইত্যদি।

এই অপটিমাইজেশন সম্পর্কিত প্রায় সকল অ্যাপস ই আপনার মোবাইলে ব্যবহার কারার সময় আপনাকে এক থেকে শতাধিক ইস্যু দেখায় । এবং এর মধ্যে থেকে ৮-১০ টা মারাক্তক চিন্হিত করে, সেই ইস্যু গুলো কে মেরে ফেলে। যা সম্পন্ন ভুয়া তথ্য। মূলত এই ইস্যু গুলো সেই অপটিমাইজার অ্যাপস ই নিজে থেকে তৈরি করে এবং সমাধান করে। এবং আপনার ফোনে অ্যাডসওয়াস মেলওয়্যার ইনস্টল করে দেয়। যার ফলে আপনার ফোনে বিরক্তিকর অ্যাডস আসতে থাকে। আর আপনার ফোনের ক্যাস ও কুকি ক্লিন করতে মন চাইলে ফোনের ডিল্ট ক্লিনার থেকে তা করতে পারেন। 

২. ইউসি ব্রাউজার: ইউসি ব্রাউজার মূলত ই-কর্মাস জায়েন্ট আলীবাবা.কমের একটি ব্রাউজার। যা মোবাইলে ইন্সটল করা মাত্র আপনার মোবাইলে ইএমআই নাম্বার, আইইমএসআই নাম্বার, লোকেশন ট্রাক করে, তাছাড়া ফোনের সকল পারমিশন যেমন, স্টোরেজ, ক্যামেরা, গ্যালারি, মাইক্রোফোন, ইত্যাদি সকল অ্যাকসেস নিয়ে নেয়। ব্রাউজারের সকল কুকি ও হিসটোরির সকল কিছু নিয়ে যার কারণে আপনার ব্যাক্তিগত জিনিস বলে আর কিছু থাকবে না। অথ্যা তারা আপনার অনলানের সকল সাইটের লগিন পাসওয়াড ও ইউজার নিয়ে নেয়। এবং পরবর্তিতে তা আলীবাবা.কম কে পাঠিয়ে দেয়। এতে করে আপনি যেকোনো সময় হ্যাকিং এর শিকার হতে পারেন এবং তারা আপনার ফোনে অ্যাডসওয়্যার ম্যালওয়ার ইন্সটল করে দেওয়ার ফলে সেই বিরক্তকর অ্যাডস আপনার চোখের সামনে বারবার চলে আসবে। সুতরাং ইউসি ব্রাউজার আমাদের পরিহার করা উচিত, এবং এর পরিবর্তীতে গুগল কোরম বা মাইক্রোসফট এডজ ব্রাউজার ব্যবহার করলে এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কেননা এই ব্রাউজার গুলো আপনার ফোনের কোন কিছুই ট্রাক বা চুরি করে না।

৩. থার্ডপার্টি অ্যাপস : থার্ডপার্টি অ্যাপস অথ্যা‘ গুগল প্লেস্টোরে যেই অ্যাপস গুলো পাওয়া যায় না বরং তাদের বাইরে সোর্সথেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হয় তাদের র্থাডপার্টি অ্যাপস বলা হয়। আপনার একান্তই জানাসোনা অ্যাপস যদি না হয় তবে এখনি আনইনস্টল করুন, কারণ এই অ্যাপস গুলোর বেশির ভাল ম্যালওয়ার বহন করে। এই অ্যাপসগুলো আপনার ফোনে,  রুটকিট, স্পাইওয়্যার বা র‌্যানসমওয়্যারের মত ভয়ানক ম্যালওয়্যার আপনার ফোনে ঢুকিয়ে দিয়ে আপনার ফোনে যেকোনো সময় হ্যাকিং এর শিকার হতে পারে। 

৪. এন্টিভাইরাস আ্যাপস: এন্টিভাইরাস সম্পর্কিত প্রায় সকল ফ্রি অ্যাপসগুলো একটি ফাদ মাত্র। আপনার ফোনে ইন্সটল করা মাত্র আপনার ফোনের স্টোরেজের পারমিশন, গ্যালারির পারমিশন, ব্রাউজিং কুকিস ও ক্যাসের পারমিশন,ক্যামেরার পারমিশন, অ্যাপেসের পারমিশন ইত্যাদি চাইবে আর আপনি সোজা মনে তা দিয়ে দিবেন। ব্যাস তারপরেই শুরু হবে আপনার ব্যাক্তিগত ছবি থেকে গুরুপ্তপর্ন সকল তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার খেলা। সকল তথ্য হাদিয়ে নেওয়ার পরই শুরু হবে ব্লাকম্ইেল। আপনি হয়তো মনে করবেন এই এন্টিভাইরাস হয়তো আপনার ফোন কে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেব কিন্তু হয়তো আপনি নিজেও জানেন না যে, ইতিমধ্যে আপনি নিজে নিজেই ভাইরাস ইন্সটল করেছেন। প্রায় সময় দেখাগিয়েছে, ফোন কে হ্যাডরিসেট করে সকল কিছু ফরমেট করার পরও সেই এন্টিভাইরাস (আসলে ভাইরাস) থেকে গেছে। সুতরাং আপনার উচিত কোন ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা এবং ফোনের ডিফল্ট এন্টিভাইরাস বা সুরক্ষা ব্যবস্থাটি ব্যবহার করা। 

৫. ফাস্টচার্জিং অ্যাপস: এটিও একটি ভয়া ও একটি ফাদ। আপনি হয়তো আপনার ফোন ফাস্টচাজিং করার বিকল্পব ব্যবস্থ খুজছেন। তারপরে কোন একটি ভিডিও দেখে অ্যাপস টি ইন্সটল করে বসলেন। আপনার জেনে থাকা দরকার চার্জিং এর বিষয় টা হ্যাডওয়ারের সাথে সম্পর্কিত, অ্যাপ্লিকেশনের সাথে নই। সুতরাং আপনার ফোনের ম্যকানিজমে ফাস্ট চার্জিং যদি থাকে তাহলে তা ডিফল্ট ভাবে থাকবে আপনাকে আলাদাভাবে কোন কিছু করতে হবে না। শুধু আপনার ফোনের চার্জার ক্যাপাবিলিটি অনুযায়ি চার্জার লাগালেই চার্জ হবে অতিরিক্ত কোন অ্যাপসের দরকার নেই। এই ফাস্টচার্জিং অ্যাপসগুলো আপনার মোবাইলে অ্যাডসওয়্যার ইনস্টল করে যা আপনাকে বিরক্তকর অ্যাডস বারবার দেখতে হতে পারে।

৬. জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ: শেয়ারইট, ট্রুকলার, ইমো: এই জনপ্রিয় আপসের মধ্যে উপরের ৩টা অ্যাপস সব থেকে আলোচিত তাদের কর্যকলাপের কারণে। প্রথমেই বলি শেয়ারইট একটি জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয় অ্যাপস হলেও বর্তমান সময়ে তার জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে কারণ এর বিরক্তকর অ্যাপস, কুরুচিপূর্ণভিডি ও মোবাইলের ডেটার অ্যকসেস নেওয়ার করণে। শেয়ারইট ফাইল শেয়ার করার অ্যাপস হলেও বর্তমানে এই অ্যাপসটিকে দেখে মনে হয় না যে এটি কোন শেয়ারকরার অ্যাপস মাত্র। সম্প্রতি রয়টার্সে একটি নিউজে প্রকাশ হয়ছে, “শেয়ারইট বিরক্তকর অ্যাডস ও ভিডিও দেখানোর পাশাপাশি, মোবাইলে ক্যামের, স্টোরেজ, গ্যলারির ইত্যাদির পারমিশন সংগ্রহ করে তা ৩য় পক্ষের কাছে বিক্রয় করছ্“ে। সুতরাং আমদের শেয়ারইট ব্যবহারে সর্তক হয় উচিত, আমাদের ফোনের গুরুপ্তপূর্ণ ডেটা হাতানোর কারণে আমারা যেকোন সময় হ্যাকিং এর শিকার হতে পারি। তাই আমাদের উচিত শেয়ারইটের পরিবর্তীতে অন্য কোন অ্যাপস ব্যবহার করা, আর তা যদি সম্ভব না হয় তবে কাজ শেষ শেয়ারইট আনইন্সটল করে দেওয়া । সাধারণত আমাদের দেশের চায়না ফোনগুলিতে ডিফল্ট শেয়ারিং এর জন্য অ্যাপস দেওয়া থাকে। দ্বিতীয়ত ট্রুকলার, স্মপ্রতি “রয়টাসর্“ ও “ফরবেস“ এর একটি নিউজে বল হয়েছে ট্রুকলার বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে উঠিছে। ট্রুকলার মোবাইলে থাকা বিভিন্ন তথ্য যেমন: মোবাইল মেসেজ, নোটপ্যাডে থাকা তথ্য রিড করে ও এর প্রতিষ্ঠানের কছে পাঠিয়ে দেয়। মোবাইলের থাকা বিভিন্ন ব্যাকিং অ্যাপস যেমন: বিকাশ, নেক্সাসপে, নগদ, পেটিএম, পেওনিয়ারের মতো অ্যাপস থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। “তবে এই ব্যাপারে ট্রুকলারের সিও কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়: ট্রুকলার ডেটা রিড করতে পারে তবে বিভিন্ন ডেটা রিড করার জন্য ইউজারের কাছে পারমিশন চাওয়া হয়। ট্রুকলার নিজে থেকে কোন ডেটা নেয় না যতক্ষণ না পারমিশন দেওয়া হচ্ছে।“ সুতরাং পরিশেষে বলা যায় ব্যাক্তিগত সুরক্ষা বিবেচনায় ট্রুকলার গোয়েন্দাগীরির জন্য রেখে নিজের জন্য বিপদ না ডেকে আনায় উত্তম। আপনি হয়তো অচেনা নাম্বারের তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন যে আপনাকে কে কল করছে কিন্তু দিন শেষে আপনি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য তাদের দিয়ে দিচ্ছেন। লাভ কার হল এখানে?

৭. টিকটক: জনপ্রিয়তার শীর্ষথাকা টিকটক, উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের কাছে অধিকপ্রিয় একটি অ্যাপস। টিকটাক শুধুই একটি বিনোদন অ্যাপস নই, বরং এটি ৩০ সেকেন্ডের একটি বোম। বর্তমানে এর কোন টেকনিক্যাল কোন সমস্যা সামনে না আসলেও এর ফলশ্রুতিতে বাড়ছে, কিশোর গ্যাং, কিশোর অপরাধ, ধর্ষন, নারী-পাচার, মাদকাসক্তি, সমাজিক অবক্ষয় ইত্যাদির মতো মারাক্তক অপরাধ। বর্তমানে আমাদের সমাজের তরণ-তরুণীরা জঘন্য চরিত্রে পরিণত হচ্ছে, নষ্ট হেচ্ছে ছাত্র-ছাত্রিদের পড়ালিখা তারাও এই ভয়নক টিকটক অসক্তি হয়ে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের রাজশাহী নগরীতে কিশোর গ্যাং এর  উপ্পাত দিন দিন বেড়ে চলছে সেই সাথে একের পর এক খুনে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে আমাদের রাজশাহী নগরীতে। পরিশেষে আমাদের অবিভাবক সহ সকল স্তরের মানুষের উচিত হবে এই টিকটক কে বর্জন করা।