২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন


দুই ছক্কা হাঁকিয়ে নাসিমের বিশ্বরেকর্ড
ক্রিড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৯-২০২২
দুই ছক্কা হাঁকিয়ে নাসিমের বিশ্বরেকর্ড ফাইল ফটো


এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক নাসিম শাহের। স্বপ্নের মতো প্রথম ওভারেই দারুণ এক বলে কেএল রাহুলকে বোল্ড করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন নার্ভটা তার ইস্পাতের মত দৃঢ়। সুপার ফোরের ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে টানা দুই ছক্কায় পাকিস্তানকে ফাইনালের টিকেট এনে দিয়ে আলোচনায় ১৯ বছরের এই তরুণ।

জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত, তবে হারলে বাদ পড়ার শঙ্কা। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এমন সমীকরণ সামনে রেখেই আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। নামে-ভারে আফগানরা অনেক পিছিয়ে থাকলেও মাঠের খেলায় এবার দারুণ চ্যালেঞ্জ দিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির খেলোয়াড়রা। এদিন তো প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল পাকিস্তানকে।

শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন নাসিম ব্যাট করতে নামে তখন জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার শেষ উইকেটে ৬ বলে ১১ রান। উইকেটে স্বীকৃত ব্যাটারদের কেউই নেই। আফগানরাও নিশ্চিত জয় জেনে উল্লাসও প্রকাশ শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু নাসিম শাহ যেন অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন।

ফজল হক ফারুকি আগের তিন ওভারেই দারুণ বল করেছেন। মাত্র ১৯ রান দিয়েই শিকার করেন ৩ উইকেট। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলটা ইয়োর্কার লেন্থে করতে চেয়েছিলেন এই পেসার কিন্তু হয়ে যায় ফুলটস। নাসিম শাহ বলটা পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারি সীমানার বাইরে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় পরের বলেও। টানা দুই ছক্কায় ১২ রান তুলে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেন নাসিম। আফগানদের উল্লাস তখন থেমে গেছে। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় কাতর তখন রশিদ খান-রহমানুল্লাহ গুরবাজরা।

নাসিম ততক্ষণে গড়ে ফেলেছেন বিশ্বরেকর্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে রান তাড়া করতে গিয়ে ১০ বা ১১ নম্বর ব্যাটার টানা দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতাতে পারেননি।

এর আগে বল হাতেও জ্বলে উঠেছিলেন এই ডানহাতি পেসার। আফগানদের ব্যাটিংয়ের সময় ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। তাতেই আরেকটি রেকর্ড লেখা হয়ে যায় তার নামের পাশে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন নাসিম। পেসারদের মধ্যে তার চেয়ে কম বয়সে ৫০ উইকেট নিতে পারেনি আর কেউই। ১৯ বছর ২০৪ দিন বয়সের এই কীর্তি গড়েছেন তিনি। তার আগেও অবশ্য রেকর্ডটা আরেক পাকিস্তানি শাহিন শাহ আফ্রিদির দখলেই ছিল।