১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৫৩:০৭ অপরাহ্ন


মাদরাসাছাত্রকে যৌন হয়রানি, অধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষক গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৯-২০২২
মাদরাসাছাত্রকে যৌন হয়রানি, অধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষক গ্রেপ্তার অভিযুক্ত শিক্ষক শান্ত ইসলাম। ফাইল ফটো


গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন ডেগেরচালা এলাকায় এক শিশু ছাত্রকে যৌন হয়রানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মো. আবু সায়েম নয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাছা থানার ডেগেরচালা এলাকার মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদরাসার শিক্ষক ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার রাখাল বুরুজ এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুর রহমান ওরফে শান্ত ইসলাম (২২), মাদরাসার অধ্যক্ষ ও মুন্সীগঞ্জ সদরের জাজিরা এলাকার মোবারক আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৪৪), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার আমিরপুর এলাকার হারুন-অর-রশিদের ছেলে ফকরুল ইসলাম (২৭) এবং ময়মনসিংহ সদরের চরপাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২)। 

নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবার বরাত দিয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু সায়েম নয়ন জানান, গাছা থানার ডেগেরচালা এলাকার মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদরাসায় গত বৃহস্পতিবার  (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাদরাসার আবাসিক শিক্ষক শান্ত ইসলাম ওই শিশু ছাত্রকে যৌন হয়রানি করেন। পরে ওই শিশু ঘটনাটি তার বাবাকে জানায়। তার বাবা মাদরাসার অধ্যক্ষসহ অন্য দুই শিক্ষকের কাছেও ওই বিষয়ে অভিযোগ দেন। মাদরাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে শিশুটির বাবাকে আশ্বাস দিলেও তারা কৌশলে কালক্ষেপণ করেন, যাতে যৌন হয়রানির আলামত নষ্ট হয়ে যায়। ১২ সেপ্টেম্বর শিশুটির বাবা আবারও শিক্ষকদের কাছে গেলে তারা জানান, পরীক্ষা শেষ হলে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভিকটিমের বাবা কোনো প্রতিকার না পেয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে সোমবার বিকেলে আটক করতে গেলে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষসহ অন্য দুই শিক্ষক পুলিশের কাজে অসহযোগিতা ও বাধা দেন। 

শিশুটির বাবা সোমবার মধ্যরাতে বাদী হয়ে গাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে ওই রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষক এবং মাদরাসার অধ্যক্ষসহ আরও দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।