২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৪৮:০২ অপরাহ্ন


আরএমপি’র ‘সাইবার ক্রাইম ইউনিট’র দুই বছর অভিযোগ ৪৪৩৬ নিষ্পত্তি ৪১৬৯
মঈন উদ্দীন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৯-২০২২
আরএমপি’র ‘সাইবার ক্রাইম ইউনিট’র দুই বছর অভিযোগ ৪৪৩৬ নিষ্পত্তি ৪১৬৯ সাইবার ক্রাইম ইউনিট


গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় ডিজিটাল মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধ দমনে মহানগরবাসীর প্রত্যাশাপূরণে ও সাংবাদিকদের প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রাথমিকভাবে একজন সহকারী পুলিশ কমিশনারকে প্রধান করে ১ জন এসআই, ১ এএসআই এবং ৩ জন কনস্টেবল-সহ মোট ৬ জন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সদস্য নিয়ে এই ইউনিট যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ১ জন সহকারী পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে ৪ জন এস আই, ৩ জন এ এস আই এবং ১৬ জন কনস্টেবল-সহ সর্বমোট ২৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও চৌকস টিম এই ইউনিটে কাজ করছে।
সইবার ক্রাইম ইউনিট সরাসরি অপারেশনাল টিম হিসেবে ফিল্ডে কাজ না করলেও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল কার্যক্রমে বিশেষ করে সাইবার অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তকরণ-সহ আসামি গ্রেফতারে সহায়তা প্রদান করছে। মেট্রোপলিটন এলাকার সকল ক্লু-লেস ঘটনা উদ্ঘাটন, অপরাধী শনাক্তকরণ ও গ্রেফতার সহায়তায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলার সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত ঘটনার চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রেরণ করছে।
গত ২ বছরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে প্রায় ৮৬১ টির মত ফেইসবুক সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ এসেছে এই ইউনিটে। ফেইসবুক সংক্রান্ত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে নারীদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর ছবি/ভিডিও সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করা, ফেইসবুকে যে কারো ছবি দিয়ে ভুয়া একাউন্ট তৈরি করা, সোসাল মিডিয়ায় বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দিয়ে মানহানি করা, ফেইসবুক একাউন্ট হ্যাকড করা, বিভিন্ন ভুয়া মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পর্নো ছবি ও ভিডিও পাঠানোসহ ফেইসবুকের মাধ্যমে সংঘটিত সকল অপরাধ।
গত ২ বছরে এই ইউনিট প্রায় ১৫৩ টির মত অপহরণের অভিযোগ সংক্রান্তে ১৩৯ ভিকটিম উদ্ধার-সহ আসামি শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। উল্লেখযোগ্য অপরাধগুলো হলো অপ্রাপ্ত/অল্প বয়সী মেয়ে/ছেলেদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করা। এছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ে অপহরণ করা।
গত দুই বছরে অনেক হারানো বা চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধারের তথ্য উদ্ঘাটনের সফলতা রয়েছে এই ইউনিটের। প্রতিষ্ঠার পর হতে এ যাবত পর্যন্ত প্রায় ২৬০৭ টি বিভিন্ন মোবাইল/ল্যাপটপ উদ্ধার করার তথ্য সরবরাহ করেছে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিট ।
এই ইউনিট উপরি-উক্ত বিভিন্ন অপরাধ ছাড়াও মেট্রোপলিটন এলাকার অন্যান্য ক্লু-লেস ঘটনা, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। গত ২ বছরে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-সহ সর্বমোট প্রায় ৪৪৩৬ টির মত অভিযোগ/জিডি এসেছে। এর মধ্যে প্রায় ৪১৬৯ টির মত অপরাধ/জিডি/অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি করেছে আরএমপি’র নব্য গঠিত সাইবার ক্রাইম ইউনিট, যেখানে সফলতার হার প্রায় ৯৪ শতাংশ।