২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:২৫:৫০ অপরাহ্ন


সিংড়ায় জমিজমার ৫০ বছরের বিরোধ নিরসন করলেন ডাহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুন
সৌরভ সোহরাব, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২২
সিংড়ায়  জমিজমার ৫০ বছরের বিরোধ নিরসন করলেন ডাহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুন সিংড়ায় জমিজমার ৫০ বছরের বিরোধ নিরসন করলেন ডাহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুন


নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াশ চক পাড়া জামে মসজিদের নামে ওয়াকফ কৃত প্রায় ১ শত বিঘা (৩৩ একর) জমির মালিকানা নিয়ে ৫০ বছরের বিরোধ সালিসী বৈঠকের মাধ্যমে  নিরসন করে দিলেন ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন।

স্থানীয়রা জানায় চকপাড়া জামে মসজিদের ৩৩ একর  ওয়াকফ কৃত জমির মালিকানা  নিয়ে আব্দুর রশিদ সরকারের শরীকানার সাথে  আব্দুল মান্নান ফকিরের শরীকানা সহ চকপাড়ার জনসাধারনের মধ্যে  দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছিল। 

বিরোধপূর্ণ এই জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা হামলা সহ বিভিন্ন সময়ে সালিসী বৈঠক করেও কোন নিরসন হয়নি।

২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিসী বৈঠকের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫০ বছরের এই বিরোধ নিরসন করেন তিনি।

ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যা মেঃ সিরাজুল মজিদ মামুনের সভাপতিত্বে সালিসী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য ও ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোঃ তারেক হোসেন দুলাল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ মাহমুদ, পরিষদের ৩ নং ওর্য়াড সদস্য মোক্তার হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ গোলাম রাব্বানী, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য সোলাইমান আলী, ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আন্ডু, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন,সাধারন সম্পাদক মোঃ রতন মৃধা, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আকবর হোসেন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।

সালিস বৈঠক শেষে রায় ঘোষনা করেন বৈঠকের সভাপতি ও পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন।

স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ মাহমুদ ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ফকির বলেন, আজ থেকে প্রায় ১৩০ বছর আগে চুমকি  ফকির নামে এক দানশীল ব্যক্তি তাঁর কোন সন্তানাদি না থাকায়  নিজ নামীয় ৩৩ এজর জমি চকপাড়া জামে মসজিদের নামে ওয়াকফ করে যান এবং মসজিদের পক্ষে আব্দুর রশিদ সরকারের পুর্বপুরুষদের কাছে দেখা শোনার দায়িত্ব দেন। জমির মালিকানা নিয়ে চকপাড়া ফকির বংশ এবং সরকার বংশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সালিসী বৈঠকের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫০ বছরের বিরোধপূর্ণ এ জমির নিরসন করায় পরিষদের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।