চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী এলাকায় নির্মান সামগ্রী বহনকারী ট্রাক আটকিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের মুল হোতা ও এজাহারনামীয় পলাতক আসামী তারেকসহ ২ জন আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
ভুক্তভোগী ফজিলিতুন নাহার রিপা তার বসত বাড়ীতে বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণের কাজ পরিচালনা করে আসছেন। এলাকার চিহিৃত চাঁদাবাজ মোঃ তারেক ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীর নিকট ঘর নির্মাণের অনুমতি বাবদ ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ভুক্তভোগী ফজিলিতুন নাহার রিপা বেগমকে চাঁদা না দিলে বসত বাড়ীতে বালি ভরাট করতে দিবে না মর্মে হুমকী প্রদান করে। ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে চাঁদাবাজ চক্রকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং তার বসত বাড়ীতে বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখ রাত সাড়ে ১০টায় ফজিলিতুন নাহার রিপার বসত বাড়ীতে বালি ভরাট করার জন্য ২টি ট্রাক বালি নিয়ে তার নির্মাণাধীন বাড়ীর সামনে পৌছালে উক্ত চাঁদাবাজ চক্র বালি আনলোড করতে বাধা দেয় এবং ভুক্তভোগী ফজিলিতুন নাহার রিপা’র নিকট আরো ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ফজিলিতুন নাহার রিপা র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভুক্তভোগীর আবেদনের বিষয়টি মানবিকতার সহিত আমলে নিয়ে উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১১টায় ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ শামসু (২৪) এবং মোঃ মাসুদ (২৫)কে আটক করকে সক্ষম এবং বাকী পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত চাঁদাবাজি চক্রের মুল হোতা ও এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন হাজিরতলী এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ তারেক (২০), পিতা-আহাদ মিয়া, সাং-দেওয়ান নগর, থানা- হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম এবং মোঃ সাকিব(২১), পিতা- আলী আহম্মদ, সাং-অলীপুর, থানা- হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম, জেলা- চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজী ও ছিনতাই করে চাঁদা আদায় করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
