১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১০:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন


বাঘায় সড়কে বসছে বিদ্যুতের খুঁটি!
বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৯-২০২২
বাঘায় সড়কে বসছে  বিদ্যুতের খুঁটি! বাঘায় সড়কে বসছে বিদ্যুতের খুঁটি!


রাজশাহীর  বাঘায় সড়কের  মাঝে  বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা সদর মুজিব চত্বর থেকে নারায়ণপুর বাজার যাতায়াতের সড়কে   বসানো হচ্ছে এ  খুঁটি ( পোল)। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

জানা গেছে, উপজেলার দুর্গম ইউপি চকরাজাপুর চরাঞ্চল থেকে উপজেলায় প্রবেশের প্রধান সড়ক এটি।  ঐতিহ্যবাহী বাজার নারায়ণপুর  প্রবেশেরও এটি প্রধান সড়ক। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভ্যান, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা এবং পন‍্য বহনকারি ট্রাক পিকাপসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে এই সড়কে। প্রতিদিন হাজার হাজার সাধারণ যাত্রী ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শ্রেনীর  শিক্ষার্থীরা চলাচল করে এ রাস্তায়। সেদিক থেকে উপজেলার অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি।  আর এ সড়কের  মাঝেই  রয়েছে কয়েকটি  বৈদ্যুতিক খুঁটি। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

তাই সেগুলো  অপসারন করে সড়কের বাইরে স্থাপনের দাবি করে আসছে স্থানীয়রা।  কিন্তু স্থানীয়দের দাবি আমলে না নিয়ে সড়কের মাঝে নতুন করে পোল (খুঁটি স্থাপন করছে  নাটোর পল্লী বিদ‍্যুৎ  সমিতি-২ কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়  রহমান  বলেন, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ প্রায় হাজারখানেক মানুষের চলাচল। রাস্তার মাঝের এই বিদ্যুতের খুঁটির কারণে প্রায়শ:ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন পূর্বে  এই রাস্তার মাঝেই বালু বহনকারি ট্রাকটর চাপায় প্রান হারিয়েছেন  এক যুবক।

রাস্তা থেকে খুঁটি অপসারনের জন‍্য বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু নতুন করে খুঁটি স্থাপন করছেন। আমরা সাধারণ জনগন আসলে অসহায়। কেউ শোনেনা আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা।

আপনাদের মাধ‍্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঠিক দৃস্টি আকর্ষণ করছি। দ্রুত রাস্তা থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য।

বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সুবির কুমার দত্ত  বলেন, রাস্তার পাশের জমির মালিকগন পৌর বিধিবিধান না মেনেই ইমারত নির্মান করেছেন। ফলে রাস্তার পাশে পোল বসানোর মতো কোন যায়গা নেই। তাই বাধ‍্য হয়েই রাস্তার মাঝে   বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে হচ্ছে। তারপরেও আমরা বিষয়টি অফিসিয়ালভাবে  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের  জানিয়েছি।