২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৯:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন


বাবার কবর জিয়ারত আমার ভাগ্যে সেটা হয় নি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২২
বাবার কবর জিয়ারত আমার ভাগ্যে সেটা হয় নি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বাবার কবর জিয়ারত আমার ভাগ্যে সেটা হয় নি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল


নির্বাচনী প্রচারনায় অনেকেই তাদের বাবার কবর জিয়ারত করে গণসংযোগ শুরু করে কিন্তু আমার ভাগ্যে সেটা হয় নি, কারণ আমার বাবার লাশ পাওয়া যায় নি: বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

আগামী (১৭ অক্টোবর) আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে জয়যুক্ত করার লক্ষে আজ শনিবার দুপুর ১টায় তাঁর উপস্থিতিতে কাটাখালী পৌরসভা কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কাটাখালি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনোয়ার সাদাত সহ পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ। 

সভায় মতিবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কাটাখালী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনোয়ার সাদাত। প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু। আরো বক্তব্য রাখেন কাটাখালীর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক।

এরপর বিকাল ৪টায় তাহেরপুর পৌরসভা কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে জয়যুক্ত করার লক্ষে তাঁর উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর রহমান মৃধা।  

মতিবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার। 


প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। 

আরো বক্তৃতা রাখেন গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, তাহেরপুর পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রইস উদ্দিন সহ কাউন্সিলর এবং নেতৃবৃন্দ। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমাকে মনোনয়ন দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের সম্মানিত করেছেন এজন্য আমি রাজশাহীবাসীর পক্ষ থেকে নেত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। 

বক্তব্যে এক পর্যায়ে তিনি আবেগপ্রবন হয়ে বলেন, নির্বাচনে প্রচারণার পূর্বে অনেকের মতো আমার বাবার কবর জিয়ারত করে গণসংযোগ করার জন্য ইচ্ছা ছিলো কিন্তু আমার সে সৌভাগ্য হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার পরিবার সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। আমার বাবা, চাচা সহ পরিবারের ১৩ জনকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়, আমরা আমার বাবা-চাচার লাশ পর্যন্ত পায়নি। তাই সকলে তাদের প্রয়াত পিতার কবর জিয়ারত করে দোয়া ও শ্রদ্ধা জানায় কিন্তু আমি আমার বাবার কবরে গিয়ে দোয়া ও শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি। 

তিনি আরো বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাকে তাঁর সার্বিক বিবেচনায় বেছে নিয়েছেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু’র ডাকে সাড়া দিয়ে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমি এই অঞ্চলে বারবার এসেছি, যুদ্ধ করেছি পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমি আমার রাজনৈতিক জীবন আওয়ামী লীগের জন্য উৎসর্গ করেছি। জীবনে আমি রাজনীতিই করে গেছি আপনাদের পাশে থেকে, আপনাদের ভাই, বন্ধু ও সহযোদ্ধা হিসেবে। আমার বড় স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছি, বীর মুক্তিযোদ্ধার উপাধি পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের সাথে নিয়ে জেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আপনাদের ভোট প্রার্থনা করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি সে দায়িত্ব আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের সাথে নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে যেতে পারি সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা বড়ই প্রয়োজন। আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করলে, এই বিজয় হবে আপনাদের, এই বিজয় হবে আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা’র।

উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ এস.এম একরামুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম আসাদুজ্জামান আসাদ, এ্যাড. আব্দুস সামাদ, আলফোর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, শ্রম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান, আলিমুল হাসান সজল, খায়রুল বাশার শাহীন, চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আবু সালেহ, কাটাখালীর পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লতিফুল কবীর, ০২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, ০৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান, ০৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইয়াসিন মোল্লা, ০৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন রাব্বানী, ০৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ০৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ, সংরক্ষিত ০১, ০২ ও ০৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হোসনেয়ারা বেগম, সংরক্ষিত ০৪, ০৫ ও ০৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চাঁদনী বেগম, সংরক্ষিত ০৭, ০৮ ও ০৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার, তাহেরপুর পৌরসভার ০২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুল আলম সরদার, ০৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্তিক সাহা, ০৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সমশের আলী, ০৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিউলী বিবি, ০৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজ উদ্দিন, ০৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদ আলী সরদার, সংরক্ষিত ০১, ০২ ও ০৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিতা রানী, সংরক্ষিত ০৭, ০৮ ও ০৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীমা আক্তার বিউটি, কিসমতগণকৈড় ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল মজিদ, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সদস্য ইসরাইল সরদার, আনিসার রহমান শেখ প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাটাখালি ও তাহেরপুর অঞ্চলের আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ সাবেক এবং বর্তমান নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।