২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৫৩:২৫ অপরাহ্ন


লাখ লাখ টন বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানোর খবর লুকাচ্ছে তেল কোম্পানিগুলো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৯-২০২২
লাখ লাখ টন বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানোর খবর লুকাচ্ছে তেল কোম্পানিগুলো ফাইল ফটো


বিশ্বের বড় বড় তেল কোম্পানিগুলো তাদের তেল ক্ষেত্রগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের তথ্য গোপন রেখেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বিপি, এনি, এক্সনমোবিল, শেভরন এবং শেল। 

বিবিসি বলছে, তেল উৎপাদনের সময় উত্তোলন করা তেল থেকে যে বাড়তি প্রাকৃতিক গ্যাস নির্গত হয় তা পুড়িয়ে ফেলা হয়। আর এ থেকে বাতাসে নির্গত হয় কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন এবং কালো ধোঁয়ার মারাত্মক এক মিশ্রণ, যা বায়ুদূষণ ঘটায় এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন তরান্বিত করে। 

বিপি, এনি, এক্সনমোবিল, শেভরন আর শেল ২০১৫ সালে অঙ্গীকার করেছিল তারা কতটা অবাঞ্ছিত গ্যাস পোড়াচ্ছে তা ঘোষণা করবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া এভাবে গ্যাস পোড়ানো বন্ধ করে দেবে। শেল বলেছিল তারা ২০২৫ সালের মধ্যেই এটা বন্ধ করবে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, যেসব ক্ষেত্রে তারা দৈনন্দিন পরিচালনার জন্য অন্য কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে, সেখানে এই পোড়া গ্যাস নির্গমনের তথ্য প্রকাশের দায়িত্ব অন্য কোম্পানিগুলোর।

উপগ্রহ থেকে বাতাসে গ্যাস পোড়ানোর যে তথ্য বিশ্বব্যাংক সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণ করে বিবিসি প্রত্যেকটা সাইটে গ্যাসের নির্গমন চিহ্ণিত করেছে। তারা বলছে ২০২১ সালে এ ধরনের আগুন থেকে প্রায় দুই কোটি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়েছে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এই নির্গমন বছরে ৪৪ লাখ গাড়ি থেকে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাসের সমান। 

বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল ক্ষেত্রগুলোর কয়েকটি রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব ইরাকের বাসরা, রুমাইলা, পশ্চিম কুরনা, জুবায়ের এবং নাহরান ওমারে। সেখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের সন্দেহ শৈশবকালীন লিউকোমিয়া বা রক্তের ক্যান্সার সেখানে বাড়ছে এবং এর জন্য দায়ী গ্যাস পোড়ানো। 

বিশ্বের যে কোন তেল ক্ষেত্রের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ গ্যাস জ্বালানো হয় ২৫ মাইল দূরের রুমাইলা তেল ক্ষেত্রে। বিবিসির হিসাব অনুযায়ী, এখান থেকে যে জ্বালানি উৎপাদিত হয়, তা দিয়ে এক বছরে ব্রিটেনের প্রায় ৩০ লাখ বাড়িতে বিদ্যুতের যোগান দেওয়া সম্ভব। 

সেখানে চুক্তি অনুযায়ী মূল মালিকানা বিপির। তাদের অধীনে তেল ক্ষেত্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে রুমাইলা অপারেটিং অর্গানাইজেশন (আরওও)। বিপি তাদের তত্ত্বাবধান করে। কিন্তু বিপি বা ওই পরিচালনা সংস্থা কেউই গ্যাস পোড়ানোর তথ্য জানায় না।