১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন


শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মার্ক জাকারবার্গ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১০-২০২২
শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মার্ক জাকারবার্গ ফাইল ফটো


বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গেল বছর বিপুল সম্পদ হারিয়ে শীর্ষ ধনীর তালিকায় ১৫ নম্বরে অবস্থান তার। তবে, বরাবরের মতোই তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।

প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বস। এতে, বরাবরের মতোই শীর্ষস্থানে রয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ২১ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজানের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তার সম্পদমূল্য ১৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার। আর তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ফরাসি ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভুইটনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বার্নার্ড আরনল্ট। তার সম্পদমূল্য ১৫ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার।

এ ছাড়াও তালিকার চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে বিশ্বের সাবেক শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট। তালিকায় দশ নম্বরে আছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি।

তবে, তালিকার শীর্ষ দশ থেকে ছিটকে গেছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। এ বছরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার অবস্থান ১৫তম। ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ কমে গেছে প্রায় অর্ধেক। তার বর্তমান সম্পদমূল্য ৫ হাজার ৭৭০ কোটি মার্কিন ডলার। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে তার সম্পদমূল্য ছিল ৭ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। ফোর্বস বলছে, গেল এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনো শীর্ষ ধনীর সম্পদের পরিমাণ এতটা কমেনি।

শুধু জাকারবার্গ নন, ফোর্বস সাময়িকীর ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ শীর্ষ ধনীই গেল বছর সম্পদ খুইয়েছেন। অর্থাৎ, এক বছরে তাদের মোট সম্পদ কমে গেছে। বিশ্বের শীর্ষ ধনীর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৪০০ ধনীর একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে ফোর্বস।

তালিকায় ৪০০ ধনী ব্যক্তির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয় ৪ ট্রিলিয়ন বা ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। গেল বছরের তুলনায় এই সম্পদ প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলার কম। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, শেয়ারবাজারের পতনসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব ধনীদের সম্পদে পড়েছে।