শেরপুরের শ্রীবরদীতে জসিম মিয়া (১৫) নামে এক কিশোরকে হত্যার পর তার ভ্যান বিক্রি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন মাসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি। বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের হাসধরা গ্রামের ধানক্ষেত থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নিহত জসিম মিয়া হাসধরা গ্রামের গোলাপজলের ছেলে। আটক মাসুদ মিয়া পার্শ্ববর্তী বিলভরট গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত জসিম টেংগড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। দরিদ্র হওয়ার সে পড়ালেখার পাশাপাশি ভ্যানগাড়ি চালায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী বিলভরট গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুদ মিয়াসহ (৩৫) চার-পাঁচজন তার ভ্যানগাড়টি ভাড়া নেন। পরে তারা জসিমকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে  কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওই গ্রামের বড়ইকুচি সড়কের পাশে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে ভ্যানগাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। 

এদিকে, ওই রাতেই ছিনতাইকৃত ভ্যানগাড়ি বিক্রি করতে এলে শহরের উত্তর বাজারের লোকজন মাসুদকে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করে থানায় দেন। পরে জসিমের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালায় শ্রীবরদী থানার পুলিশ। দুপুরে হাসধরা গ্রামের লোকজন তার লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নাঈম মো. নাহিদ হাসান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।