রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় একটি বাসা থেকে সোহেলী আক্তার ওরফে সুইট (২২) নামে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যশোর এমএম কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে বাড্ডা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মারা যাওয়া সোহেলী আক্তার ওরফে সুইট যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাফিজুর রহমানের মেয়ে।
সুইটের ভগ্নিপতি গোলাম রব্বানী জানান, সোমবার রাতে যে যার রুমে ঘুমাতে যাওয়ার পর রাত ৩টার দিকে তাদের ফোনে এক ছেলে কল করে জানান, সুইটের রুমে গিয়ে দেখতে, সে কি করছে। তখন ওই রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে জানলা দিয়ে লাইট জালিয়ে তারা দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন সুইট। তখন দরজা খোলার চেষ্টা করেন। না পেরে পরবর্তীকালে থানায় খবর দেন।
তিনি আরও জানান, ৩ থেকে ৪ বছর ধরে একটি ছেলের সঙ্গে সুইটের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিয়ের কথাও হচ্ছিল। রাতে তার সঙ্গেই রাগারাগির পর গলায় ফাঁস দেন সুইট।
সুরতহাল প্রতিবেদনে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মামুন মৃধা উল্লেখ করেন, এক মাস আগে দক্ষিণ বাড্ডার ব-৬/১ নম্বর বাড়ির ৬ষ্ঠ তলায় ভগ্নিপতি গোলাম রব্বানী ও বোন নাজমুন নাহারের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন সুইট। রব্বানীর বাচ্চাকে দেখাশুনা করতেন তিনি। একটি ছেলের সঙ্গে সুইটের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে খাওয়া-দাওয়া করে তিনি নিজের রুমে ঘুমাতে যান। পরবর্তীকালে মোবাইল ফোনে সেই ছেলের সঙ্গে তার রাগারাগি হয়। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেন তিনি। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
