০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ০৪:০০:০০ অপরাহ্ন


নওগাঁয় জেএমবির পলাতক নেতা আরিফ গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৭-২০২৩
নওগাঁয় জেএমবির পলাতক নেতা আরিফ গ্রেপ্তার নওগাঁয় জেএমবির পলাতক নেতা আরিফ গ্রেপ্তার


নওগাঁর সাপাহার থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গির শীর্ষ নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের সক্রিয় সদস্য আরিফ হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বুধবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মধইল এলাকার একটি আমবাগানে র‍্যাব-৫ ও র‍্যাব-২-এর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আরিফ হোসেন ওই গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৭ সালের ২২ জুলাই আরিফসহ জেএমবির সদস্যরা ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার জন্য গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আরিফ পালিয়ে গেলেও জেএমবির সদস্য সোহাইব শেখ ও রফিকুল ইসলাম রফিককে বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন, একটি ধারালো চাপাতি এবং নানা রকম উগ্রবাদী বইসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পরবর্তী সময়ে  গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আরিফ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন জেএমবি সদস্য পালিয়ে গেলেও আরিফ হোসেন তাদের মধ্যে একজন দুর্ধর্ষ জেএমবি নেতা ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে আরিফ জামিনে বের হয়ে গেলে বিজ্ঞ সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। মামলায় জামিনের পর থেকে আরিফ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিলেন এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির কার্যক্রম গোপনে চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, জামিন পেয়ে পলাতক হওয়ার পর থেকে র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তারের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প ও র‍্যাব-২-এর বিশেষ আভিযানিক দল তার অবস্থান শনাক্ত করে।

এরপর দুই দিনের একটি রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা শেষে সাপাহার উপজেলার মধইল এলাকার একটি আমবাগান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আরিফের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।