০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১০:৩১:২০ পূর্বাহ্ন


দেশের ৬ প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার খবর এলো
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৮-২০২৩
দেশের ৬ প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার খবর এলো ফাইল ফটো


সাইবার হামলার শঙ্কা থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভার সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এরইমধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিজিডি ই–গভ সার্ট-এর পরিচালক সাইফুল আলম।

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন,

সাইবার হামলার বিষয়ে আমরা সব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছিলাম। এখন পর্যন্ত ৬টি প্রতিষ্ঠানে অ্যাটাকের খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশন তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে সার্ভার বন্ধ রেখেছিল।
 
বিজিডি ই-গভ সার্ট তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সাইবার নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করে থাকে।

এর আগে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাইবার হামলার শঙ্কায় ১৪ ডিসেম্বর রাত ১২টায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভার বন্ধ করা হয়। যদিও আগে থেকেই ১৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবে- এমন শঙ্কায় ব্যক্তি পর্যায়ে জানানো হয়নি। আজ দুপুর আড়াইটায় আবার চালু করেছি।’

এদিকে এনআইডি সার্ভার যে বন্ধ রয়েছে তা বোঝা গেছে সকাল থেকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেবাপ্রত্যাশীরা। তারা জানান, আগে জানালে হয়তো এতো দূর থেকে এসে ভোগান্তি পোহাতে হতো না।  এ ছাড়াও এনআইডি সার্ভার বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয় ব্যাংক, পাসপোর্টসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা সকালে জানান, সকাল থেকেই সার্ভারে ঢুকতে পারছিলেন না তারা।
 
দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভান্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভান্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
 
সম্প্রতি ইসির তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনআইডির তথ্যভান্ডারে প্রায় ১২ কোটি ভোটারের কমবেশি ৩০ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য আছে। ১৭১টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইসির এই তথ্যভান্ডার থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য যাচাই–সংক্রান্ত সেবা নিচ্ছে।
 
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে।