২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৬:৪৬:০৫ অপরাহ্ন


এসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৮-২০২৩
এসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর অভিযুক্ত মিথুন সরকার। ছবি: সংগৃহীত


বগুড়ায় মিথুন সরকার (২৮) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বগুড়া নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলাটি করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

অভিযুক্ত মিথুন সরকার বগুড়ার শেরপুর থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। গত ৯ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। মিথুন সরকার শেরপুর জেলার সদরের বয়রা পালপাড়া গ্রামের সুনীল সরকারের ছেলে।

এজাহারে জানা যায়, অভিযোগকারী নারী এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় প্রেমের সম্পর্কের জেরে একজনকে বিয়ে করেন। তবে স্বামীর পরিবার মেনে না নেওয়ায় তিন মাসের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তার। কয়েক মাস আগে ওই বিয়ে নিয়ে পারিবারিক ঝামেলায় পড়ে ভুক্তভোগী নারী পুলিশের সহায়তা নেন। ওই সমস্যার সূত্র ধরে অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বর নেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মিথুন সরকার।

তিনি নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে আইনি সহয়তা দেওয়ার কথা বলে ওই নারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে গত ৩ জুন মিথুন সরকার তাকে শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যান। পরে সেদিন বিকেলে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের একজনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় মিথুন সরকার ঈদুল আজহার পরে তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে ২৭ জুন এসআই মিথুন সরকারের সঙ্গে দেখা করতে শেরপুর থানায় যান ওই নারী। থানায় গিয়ে জানতে পারেন মিথুন সরকার অন্য ধর্মের অনুসারী। পরবর্তীতে এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় হয়। কিন্তু মিথুন সরকার তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীর আইনজীবী লুৎফর রহমান বলেন, এই বিষয়ে এরইমধ্যে পুলিশ ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। শিক্ষার্থীর করা মামলা আদালত আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মিথুন সরকার বলেন, অভিযোগ সব মিথ্যা। তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়নি। কেন আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে জানি না।

বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, এই বিষয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে এরইমধ্যে তদন্ত হয়েছে। দ্রুত ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।