০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ১১:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন


উয়েফা'র বর্ষসেরা ফুটবলার হালান্ড
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৯-২০২৩
উয়েফা'র বর্ষসেরা ফুটবলার হালান্ড ছবি: সংগৃহীত


প্রথমবারের মতো উয়েফা বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তিনজনের তালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন আর্লিং হালান্ড। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি লিওনেল মেসি ও ম্যানসিটির তারকা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন। পুরস্কারটি উঠেছে হালান্ডের হাতে। নরওয়ের প্রথম ফুটবলার হিসেবে এই সম্মাননা পেলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সের মোনাকোতে জমকালো আয়োজনে উয়েফা বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ডের ২০২২–২৩ মৌসুমের বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হয়। গত ১৭ আগস্ট বর্ষসেরার দৌড়ে মনোনীত সেরা তিনজনের নাম জানিয়েছিল উয়েফা।

বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেয়া হালান্ড ক্লাবটির হয়ে প্রথম মৌসুমেই ট্রেবল জিতেছেন। প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ৩৬ গোলের রেকর্ড করেছেন ২৩ বর্ষী তারকা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জয়ের আনন্দে মেতেছিল পেপ গার্দিওলার দল। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে হালান্ড ৫৩ ম্যাচে করেছিলেন ৫২ গোল।

একদিন আগেই প্রফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ) এর বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন হালান্ড। গত মে মাসে প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার অব দ্য সিজন এবং ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের খেতাব অর্জন করেছিলেন তিনি।

বর্ষসেরার দৌড়ে হালান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ও সম্প্রতি মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেয়া লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের দুবার সেরা খেলোয়াড় মেসির অধীনে ৩৬ বছর পর শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। আসরে নিজে ৭ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে তিনটি গোল করিয়েছেন ৩৬ বর্ষী মহাতারকা।

বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি লিগ ওয়ানের শিরোপা জিততে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনকে সহায়তা করেছেন মেসি। মৌসুমে মোট ৩২ ম্যাচে মাঠে নেমে ১৬ গোল করেছেন। পাশাপাশি ১৬টি গোল করতে সহায়তা করেছেন এলএম-১০। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৭ ম্যাচে ৪ গোলের দেখা পেয়েছিলেন এলএম টেন।

ম্যানসিটির ট্রেবল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা কেভিন ডি ব্রুইনেও ছিলেন বর্ষসেরার দৌড়ে সেরা তিনের একজন। মাঝমাঠ থেকে খেলার নিয়ন্ত্রণ করেছেন বেলজিয়ামের ৩২ বর্ষী তারকা। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে মোট ৭টি গোল করেছেন। সহায়তা করেছেন সতীর্থদের ১৮ গোলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১০ ম্যাচে দুই গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেছেন আরও ৭ গোলে। যার একটি সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।

এফএ কাপে ৪ ম্যাচে এক গোলের পাশাপাশি ছিল চার অ্যাসিস্ট। এছাড়া ইএফএল কাপে দুই ম্যাচে দুটি অ্যাসিস্ট ছিল বেলজিয়ান তারকার। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৯ ম্যাচে ১০ গোলের পাশাপাশি ৩১ গোলে সহায়তা করেছেন ডি ব্রুইনে।

মেয়েদের বর্ষসেরা হয়েছেন বার্সেলোনা ও স্পেনের বিশ্বজয়ী মিডফিল্ডার এতেনা বনমাতি। গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। এছাড়া মেয়েদের বিশ্বকাপে স্পেনের জয়ের পেছনে রেখেছেন অনন্য অবদান।