০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ০৫:০১:৩০ পূর্বাহ্ন


সুরা তারিক: ৬টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৯-২০২৩
সুরা তারিক: ৬টি শিক্ষা ও নির্দেশনা ফাইল ফটো


সুরা তারিক কোরআনের ৮৬তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরাটির আয়াত সংখ্যা ‌১৭টি, রুকু ১টি। এ সুরায় আল্লাহ মানুষকে তার জন্মবৃত্তান্ত মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, যিনি তাকে এভাবে সৃষ্টি করেছিলেন, তিনি তাকে আবার সৃষ্টি করতে সক্ষম। মানুষ মৃত্যুর পর আবার জীবিত হবেই এবং তাকে তার সব কাজের হিসাবও দিতে হবে।

সুরা তারিক

(১) শপথ আকাশের এবং রাতে যা আবির্ভূত হয় তার; (২) তুমি কি জানো রাতে যা আবির্ভূত হয় তা কী? (৩) ওটা দীপ্তিমান নক্ষত্র! (৪) প্রত্যেক জীবের ওপরই সংরক্ষক রয়েছে। (৫) মানুষের চিন্তা করে দেখা উচিৎ, তাকে কী থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে ? (৬) তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে, (৭) যা বের হয় শিরদাঁড়া ও পাঁজরের মধ্য থেকে। (৮) নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। (৯) যেদিন গোপন বিষয়সমূহ পরীক্ষা করা হবে, (১০) সেদিন তার কোন ক্ষমতা থাকবেনা এবং সাহায্যকারীও না। (১১) শপথ আসমানের যা ধারণ করে বৃষ্টি, (১২) শপথ বিদীর্ণ জমিনের, (১৩) নিশ্চয় এটা ফয়সালাকারী বাণী। (১৪) এটা নিরর্থক নয়। (১৫) তারা ষড়যন্ত্র করে, (১৬) আমিও কৌশল করি। (১৭) তাই কাফিরদের অবকাশ দাও, তাদের অবকাশ দাও কিছু সময়ের জন্য।

শিক্ষা ও নির্দেশনা

১. পরকাল, হিসাব ও প্রতিদানে বিশ্বাস মুসলমানদের মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস, পরকালে অবিশ্বাসী হয়ে কেউ মুমিন হতে পারে না। পরকালের বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে অন্তরে ধারণ করা আমাদের কর্তব্য।

২. মানুষের সব কাজই লিখে রাখা হচ্ছে, আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত থাকছে। যে কোনো কাজ করার সময় এটা মনে রাখা উচিত।

৩. আমরা কীভাবে পৃথিবীতে এসেছি, জন্মগ্রহণ করেছি, তা মনে রেখে বিনয়ী হওয়া, নিজেদের ক্ষুদ্রতা ও অক্ষমতা উপলব্ধি করা আমাদের কর্তব্য।

৪. যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনি নিশ্চয়ই মৃত্যুর পর মাটিতে মিশে যাওয়ার পরও আবার আমাদের সৃষ্টি করতে পারেন। সুতরাং পুনরুত্থান নিয়ে কারো অন্তরে সংশয় থাকা উচিত নয়।

৫. মানুষ অন্তরে কী গোপন করে আর কী প্রকাশ করে সবই আল্লাহ জানেন। ভাণ ও ভণ্ডামি করে দুনিয়ার মানুষকে ধোঁকা দেওয়া গেলেও আল্লাহর কাছে পার পাওয়া যাবে না। তাই ইমান ও নেক আমল করা উচিত বিশুদ্ধ নিয়তে, আল্লাহর সন্তুষ্টিই যেন একমাত্র লক্ষ্য হয়।

৬. কোরআন সত্য মিথ্যার ফয়সালাকারী আল্লাহর সুস্পষ্ট বাণী। কোরআনে কোনো বাতিল বা অনর্থক বক্তব্য নেই। যুগে যুগে কোরআনের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো সত্যে পরিণত হয়েছে। কোরআনে বর্ণিত বিধিবিধানগুলো সর্বোৎকৃষ্ট ও চিরন্তন প্রমাণিত হয়েছে।