১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ১১:৪৯:৪০ অপরাহ্ন


আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ের ফজিলত
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২৩
আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ের ফজিলত ছবি: সংগৃহীত


ইসলামে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মসজিদ তিনটি। মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদ আন-নববি এবং ফিলিস্তিনের জেরুসালেমের মসজিদ আল-আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস। রাসুল (সা.) বলেছেন,

لَا تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَّا إِلَى ثَلَاثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْمَسْجِدِ الْأَقْصَى وَمَسْجِدِي هَذَا

শুধু তিনটি মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য সফর করা যায়; মাসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা ও আমার এই মসজিদ। (সহিহ মুসলিম)

মসজিদ আল-আকসার ব্যাপারে আল্লাহর নবি সুলাইমানের (আ.) দোয়ার কথা উল্লেখ করে রাসুল সা. বলেন,

لَمَّا فَرَغَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ مِنْ بِنَاءِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَأَلَ اللَّهَ ثَلاَثًا حُكْمًا يُصَادِفُ حُكْمَهُ وَمُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ وَأَلاَّ يَأْتِيَ هَذَا الْمَسْجِدَ أَحَدٌ لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ فِيهِ إِلاَّ خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ‏ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏أَمَّا اثْنَتَانِ فَقَدْ أُعْطِيَهُمَا وَأَرْجُو أَنْ يَكُونَ قَدْ أُعْطِيَ الثَّالِثَ

সুলাইমান ইবনে দাউদ (আ.) বায়তুল মাকদিসের নির্মাণ কাজ শেষ করে আল্লাহ্‌র কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেন, আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী সুবিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে আর কাউকে দেয়া হবে না এবং যে ব্যক্তি বাইতুল মুকাদ্দাসে শুধু নামাজ আদায়ের জন্য আসবে, তার সব গুনাহ মাফ হয়ে সে যেন নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। নবিজি (সা.) বলেন, প্রথম দুটি তো তাকে দান করা হয়েছে, আমি আশা করি তৃতীয়টিও তাকে দান করা হয়েছে। (সুনানে ইবনে মাজা)

এ হাদিসে রাসুলের (সা.) আশা অনুযায়ী কেউ আল-আকসা মসজিদে শুধু নামাজ আদায়ের জন্য গেলে আল্লাহ তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন।

আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে করেছেন, ‘মসজিদুল হারামে একটি নামাজ এক লক্ষ নামাজের সমতুল্য, আমার মসজিদে একটি নামাজ এক হাজার নামাজের সমতুল্য এবং মসজিদুল আকসায় একটি নামাজ পাঁচশত নামাজের সমতুল্য। (তাবরানি, বাযযার)

তবে এ হাদিসটিকে অনেক আলেম দুর্বল বলেছেন। তাদের মতে মসজিদুল আকসায় একটি নামাজ এক হাজার নামাজের সমতুল্য যেমন অন্য কিছু হাদিস থেকে বোঝা যায়।