অফিসে বিভিন্ন রকম ভাবে বস তাদের হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ৷ আর তারই প্রতিশোধ নিতে অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটালে গুজরাতের বরোদার একটি সংস্থার দুই কর্মী৷ অভিযোগ, হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে বসের নগ্ন ছবি নিয়ে সেই ছবি বসেরই স্ত্রী সহ অন্যান্যদের কাছে পাঠিয়ে দিল ওই দুই কর্মী৷

জানা গিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্ত কর্মীর মধ্যে একজন মহিলা৷ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর ওই মহিলার দাবি, অফিসে তার বস তাকে এতটাই অপদস্থ করতেন যে বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দেয় সে৷ এর পরেই এক সহকর্মীর সঙ্গে মিলে হানি ট্র্যাপে ফেলে অফিসের ওই বসের উপরে প্রতিশোধ তোলার পরিকল্পনা করে ওই দু জন৷

পুলিশ সূত্রে খবর, বেসরকারি সংস্থার ওই উচ্চপদস্থ কর্তার বয়স চল্লিশ ছুঁই ছুঁই৷ প্রথমে ওই ব্যক্তিকে যৌন আবেদনমূলক মেসেজ পাঠাতে থাকে দুই অভিযুক্ত৷ ইন্টারনেট থেকে ডাইনলোড করে এক মহিলার নগ্ন ছবিও পাঠানো হয় ৷ এর পরেই ফাঁদে পড়ে নিজের নগ্ন ছবিও ওই দুই অভিযুক্তের তৈরি করা ভুয়ো ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি ৷ তার পর অবশ্য ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আর কোনও মেসেজ পাননি তিনি৷

এর কিছু দিন পর থেকেই ওই ব্যক্তির কাছে ই মেল মারফত তাঁরই নগ্ন ছবি পাঠাতে শুরু করে দুই অভিযুক্ত৷ একই সঙ্গে ফাঁদে পড়ে যে সমস্ত গোপন চ্যাট তিনি করেছিলেন, সেগুলিও তার কাছে পাঠিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং৷

শুধু তাই নয়, যে অফিসে ওই তিনজন চাকরি করতেন, সেই অফিসের এইচ আর ডিপার্টমেন্টেও নিজেদের বসের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে দেয় দুই অভিযোগ৷ ওই উচ্চপদস্থ কর্তার স্ত্রীর কাছেও তাঁর সেই ছবি পাঠানো হয়৷ এমন কি, অফিসের ঠিকানাতেও প্রিন্ট আউট করে ওই ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷

এর পর থেকে ওই ব্যক্তিকে সবসময় ফলো করা শুরু করে দুই অভিযুক্ত৷ প্রায় তিন মাস হেনস্থা হওয়ার পর শেষে পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হন ওই বেসরকারি সংস্থার কর্তা৷

পুলিশ জানিয়েছে, নিজেদের বসকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এই চক্রান্ত করেছিল দুই অভিযুক্ত৷ তদন্তকারীদের ভাষায় এটি কর্পোরেট শত্রুতার ঘটনা৷ দুই অভিযুক্তের বয়ান রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে৷