০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ০৬:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন


প্রতিবেশীর বাড়িতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০১-২০২৪
প্রতিবেশীর বাড়িতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ প্রতিবেশীর বাড়িতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ


সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বাড়ি ফেরার পথে এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে রাস্তা থেকে তুলে প্রতিবেশীর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন সহকারী মহুরি হানজালা হোসেন (২৩)। এ ধর্ষণের ঘটনায় হানজালার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় হানজালার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

রোববার দুপুরে এনায়েতপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীসহ আশপাশের গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

ধর্ষিতার পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরের দিকে এনায়েতপুর থানার গোপালপুর মসজিদ রোড় এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পাঠগ্রহণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে একই গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে হানজালা জোরপূর্বক পাশের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা দিতে স্থানীয় মহিলা চিকিৎসক শেফালীকে নিয়ে আসে ধর্ষকের পরিবারের লোকজন।

অবস্থা আরও বেগতিক দেখে শিশুটির বাড়িতে খবর দেয় ধর্ষকের চাচা শাহজাহান ও লুৎফর রহমান লতু। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ধর্ষিতা শিশুর অবস্থার আরও অবনিত হলে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

 এ ঘটনায় শনিবার রাতেই মেয়ের বাবা তাঁত শ্রমিক সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে হানজালাসহ ৫ জনকে আসামি করে এনায়েতপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি হানজালাসহ বাবা ইব্রাহিম, চাচা লুৎফর রহমান লতু ও প্রতিবেশী বাড়ির মালিক রনজিদা খাতুনকে রোববার দুপুরে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার দুপুরের দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মসজিদ রোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল শেষে এনায়েতপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে গিয়ে সমাবেশে করে। পরে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে এনায়েতপুর থানা সড়কে পুনরায় মিছিল করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার বিপুলসংখ্যক মানুষ।

এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।