০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ১১:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন


ঠাকুরগাঁওয়ের পলিটেকনিক্যাল ইনস্টটিউিটটি শিক্ষক ও আবাসন সংকটের চরম ভোগান্তিতে
হুমায়ুন কবির,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৪-২০২৪
ঠাকুরগাঁওয়ের পলিটেকনিক্যাল ইনস্টটিউিটটি শিক্ষক ও আবাসন সংকটের চরম ভোগান্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ের পলিটেকনিক্যাল ইনস্টটিউিটটি শিক্ষক ও আবাসন সংকটের চরম ভোগান্তিতে


ঠাকুরগাঁওয়ের পলিটেকনিক্যাল ইনস্টটিউিটে শিক্ষক ও আবাসন সংকটের ভোগান্তিতে কারিগরি শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটি। আবাসন ব্যবস্থার অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক- শিক্ষাথীরা। থাকা-খাওয়ার সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানটির নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে এ প্রশিক্ষানটিতে পড়া-লেখা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ছাত্রী রয়েছে। যার মূল কারণ হিসাবে আবাসন সমস্যার কথা উঠে এসেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ২০০৪ সালে ঠাকুরগাঁও বিসিক এলাকায় ২ একর জমির ওপর স্থাপন করা হয় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক্যাল ইনস্টটিউিটটি। এখানে পাঁচটি টেকনোলজিতে ১১১ জন শিক্ষক পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৩৪জন। এর মধ্যে ৩ জন রয়েছে প্রেষণে। জমির অভাবে ল্যাবের আয়তন বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে এ প্রতিষ্ঠানটি তার লক্ষ্য পূরণে চরম ব্যর্থ হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে একজনকে প্রতিদিনি স্বাভাবকি ৫-টি ক্লাসের স্থলে দুই শিফটের দ্বিগুন ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে পাঠদানে শিক্ষকরা যেমন মনোযোগ রাখতে পারছেন না, তেমনি শিক্ষার্থীরা মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংকটরে কারণে অতিথি শিক্ষক দিয়ে দায়সারা পড়ালেখা চলছে এ প্রতিষ্ঠানে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ইনস্টিটিউটে ৫টি টেকনোলজিতে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনা করছে। দুই একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নেই। ফলে শহরের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মেসে থেকে পড়াশোনা করতে হয়। এতে বাড়তি খরচসহ নিরাপত্তা নিয়ে ও নানা বিড়ম্বনায় পড়েন তারা। শিক্ষার্থী উপেন চন্দ্র রায় বলেন, এভাবেই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হয়ে গেলো। না পেলাম শিক্ষক, না পেলাম হল সুবিধা। আবাসন সুবিধা না থাকায় যাতায়াতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের পরের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যেন এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন না হয়।

একই কথা জানান আরেক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, এখানে বেশির ভাগই শিক্ষক সদ্য পড়াশোনা শেষ করা ছাত্র কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানের । যাদের অনেকেই ল্যাবের মেশিনারি সম্পর্কে ভালো দক্ষতা নেই। ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক্যাল ইনস্টটিউিটের চিফ ইনস্ট্রাক্টর সঞ্জয় বণিক জানান, এখানে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসন ব্যবস্থা নেই। শুধু অধ্যক্ষের জন্য একটি বাসভবন আছে। ইনস্টটিউিটরে অধ্যক্ষ মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যার বিষয়গুলো অবহিত করেছি। তারপরও এত সমস্যার মধ্যদিয়ে কোনমতে চালাতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।