০৩ মে ২০২৪, শুক্রবার, ১১:২৯:৩১ অপরাহ্ন


বাঁচতে চায় ব্রেনটিউমারে আক্রান্ত সিংড়ার ইমরান
সৌরভ সোহরাব, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৪-২০২৪
বাঁচতে চায় ব্রেনটিউমারে  আক্রান্ত  সিংড়ার  ইমরান বাঁচতে চায় ব্রেনটিউমারে আক্রান্ত সিংড়ার ইমরান


মরণব্যাধী ব্রেনটিউমারে আক্রান্ত  ১৮ বছর বয়সী তরুন যুবক মোঃ ইমরান হোসেনের এখন একটাই আকুতি "সুন্দর এই পৃথিবীতে আমি বেঁচে থাকতে চাই'। দেশের বাহিরে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা। তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে  এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় । কোথায় পাবেন টাকা?  তাহলে কি তার চিকিৎসা হবে না?  টাকার অভাবেই কি তাকে এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। সমাজের বিত্তবানরা কি কেউ নেই যে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তরে দিশে হারা  হয়ে পড়েছে ইমরানের পরিবার।

ব্রেনটিউমারে আক্রান্ত্র ভুক্তভোগী  ইমরান নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বেরিবাঁধ এলাকার দরিদ্র দিনমজুর মোঃ জুলহাস মোল্লার একমাত্র ছেলে। পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,  আজ থেকে ৮ বছর আগে ব্রেনটিউমারের শিকার হন  ইমরান।  ইমরান তখন চতুর্থ কি ৫ম শ্রেণির ছাত্র। হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে পড়ে যান ইমরান । শরীরে কাপুনি শুরু হয়। মাথায় পানি ঢাললে সুস্থ হয়ে উঠেন।  মাসে দুই একবার এ রকম লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ায় সবাই ধারণা করেন মৃগীরোগের আক্রান্ত।  তাই প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় ডাক্তার কবিরাজের চিকিৎসা করান  বাবা মা।  এভাবে কেটে যায় ৪ থেকে ৫ বছর। বছর তিনেক আগে মাথা ব্যথা আর যন্ত্রনা তীব্র আকার ধারন করলে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে । সেখানে ধরা পড়ে ব্রেনটিউমার। মহাবিপাকে পড়েন বাবা মা। ধার দেনা করে শুরু করেন চিকিৎসা। 

বাবা জুলহাস মোল্লা কান্নাজড়িত গলায় বলেন, আমাদের দুই মেয়ে এক ছেলে। ছেলে  ইমরানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আমাদের। কষ্টের মধ্যে দিয়েও ছেলেকে পড়া লেখা করাবো। কিন্তু তা আর হলো না। ব্রেনটিউমারে ছেলের পড়া লেখা বন্দ হয়ে যায়। এখন টাকার অভাবে যেন ছেলেকেই বাঁচাতে পারি না।  

মা রিনা বেগম জানান, আমাদের কোন জমি জমা নাই। সরকারী বেরিবাঁধে বাড়ি করে থাকি। ওর বাবা পরের বাড়িতে কাজ করে যা পায় তাই দিয়ে কোন দিন খেয়ে আবার কোন দিন  না খেয়ে   সংসার চলে। ছেলের চিকিৎসা নিয়ে আমরা এখন দিশেহারা। ধার দেনা করে এপর্যন্ত  ৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। ডাক্তার বলেছেন, ছেলেকে বাঁচাতে হলে  দেশের বাহিরে যেতে হবে। সবমিলে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এ টাকা আমাদের পক্ষে জোগাড় হরা সম্ভব নয়। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম জানান, যাকাত ফেতরা নিয়ে ওই পরিবার এ পর্যন্ত ছেলের চিকিৎসা করিয়েছে। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে হয়তো তার চিকিৎসার টাকা জোগাড় করা সম্ভব। সমর্থবানদের সহযোগিতার আহবান জানান তিনি।

সহযোগিতার জন্য বাবা জুলহাস মোল্লার একাউন্ট নম্বর- জনতা ব্যাংক,কলম শাখা,নাটোর। সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ০১০০২৫৫৩৪৪৬৬২। বিকাশ নম্বর- ০১৭০৭২৬৪৪২৮