২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন


ত্রিকোণ প্রেমে যুগলের মৃত্যু
আবু হেনা :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৯-২০২২
ত্রিকোণ প্রেমে যুগলের মৃত্যু ত্রিকোণ প্রেমে যুগলের মৃত্যু


ত্রিকোণ প্রেমের বলি দুই তরুণ-তরুণী। চেন্নাইয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ পাওয়া গেছে।

মৃতদের নাম অর্পিতা পাল (২০) এবং প্রসেনজিৎ ঘোষ ওরফে শানু (২২)। দুজনেরই বাড়ি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে।

অর্পিতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল শানুর।

২০২০ সালে স্থানীয় রাধানগর হাই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময়েই বিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন অর্পিতা। সেখানে এক বছর পড়ার পর চেন্নাইয়ের একটি হোটেলে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অসমের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় অর্পিতার। অর্পিতার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা গেছে।

প্রশিক্ষণের পর চেন্নাইয়েরই অন্য একটি হোটেলে কাজে যোগ দেন অর্পিতা। কিন্তু অসমের ওই যুবককে নিয়ে তাঁর সঙ্গে শানুর সমস্যা শুরু হয়।

জানা গেছে, কাজে যাওয়ার নাম করে গত শুক্রবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শানু। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি কেউ। অন্যদিকে অর্পিতা যে হোটেলে চাকরি করতেন, সেখান থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, অর্পিতার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তিনি কাজেও আসছেন না। এরপর সোমবার আবার অর্পিতার বাড়িতে ফোন আসে, জানানো হয়, তাঁর পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে বুধবার শানুর বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, চেন্নাইতে তাঁরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে অর্পিতা এবং প্রসেনজিৎ চেন্নাইয়ের একটি হোটেলে একসঙ্গেই ছিলেন। পুলিশের দাবি, অর্পিতাকে খুন করার পর আত্মহত্যা করেছে শানু। যদিও সেই দাবি মানতে চাননি মৃতদের পরিবার। তাঁদের দাবি, অসমের ওই যুবক দু’জনকেই খুন করে গা ঢাকা দিয়েছে অন্য কোথাও। এমনকি, অর্পিতার পরিবারের দাবি এ ঘটনার পর থেকেই অসমের এই যুবকের ফোন বন্ধ রয়েছে।

ইতিমধ্যেই শানু ও অর্পিতা পরিবার চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।