২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:২০:৫৮ পূর্বাহ্ন


সুনামগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুদন্ড ধর্ষকের যাবজ্জীবন
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৩-২০২৩
সুনামগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুদন্ড ধর্ষকের যাবজ্জীবন ফাইল ফটো


সুনামগঞ্জে একই আদালতে স্বামীকে মৃত্যুদন্ড ও ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এই দুটি রায় দেন।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম- মোহাম্মদ রাসেল মিয়া। সে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে। আর যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম- খলিল আহমেদ। সে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে- ২০১৫ সালে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের দরিদ্র রেছনা বেগমের মেয়ে মহনমালা বেগমের সাথে একই গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতকের জন্য মহনমালা বেগমকে নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী রাসেল মিয়া। এঘটনার প্রেক্ষিতে নির্যাতিত গৃহবধু মহনমালা তার স্বামী রাসেল মিয়ার বিরোদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এবং তারা দুজন আলাদা ভাবে বসবাস শুরু করে।

এরপর স্বামী রাসেল মিয়া যৌতকের জন্য আর নির্যাতন করবেনা মর্মে অঙ্গিকার করে মহনমালাকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। বেশ কিছুদিন ভাল ভাবে সংসার করার পর স্বামী রাসেল মিয়া যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে আবার নির্যাতন শুরু করে।

এমতাবস্থায় ২০১৮ সালের ২৮ জুন গৃহবধু মহনমালা বেগমের মৃত দেহ তার স্বামীর ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই খবর পেয়ে ওই গৃহবধুর লোকজন মৃতদেহ দেখতে গেলে স্বামী রাসেল মিয়া পালিয়ে যায়। এঘটনার প্রেক্ষিতে মহনমালার মা রেছনা বেগম বাদী হয়ে জামালগঞ্জ থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক শিশুকন্যাকে জোর পূর্বক ধর্ষনের ঘটনায় খলিল আহমেদের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ধর্ষক খলিলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নান্টু রায় দুটি মামলার রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- বিজ্ঞ বিচারকের রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টিত হয়েছে। এই রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।