১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ০৮:৪৫:৫১ অপরাহ্ন


স্কুলের ছাদে নিয়ে গিয়ে তিন বছরের ছাত্রীকে 'ধর্ষণ'
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৪-২০২৩
স্কুলের ছাদে নিয়ে গিয়ে তিন বছরের ছাত্রীকে 'ধর্ষণ' স্কুলের ছাদে নিয়ে গিয়ে তিন বছরের ছাত্রীকে 'ধর্ষণ'


স্কুলের মধ্যেই তিন বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১০ বছর বয়সি এক নাবালকের বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ওই অভিযুক্তকে আটক করেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। শনিবার উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগর জেলায় এ ঘটনা ঘটে

এনিয়ে মেয়েটির বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন. তাঁদের দাবি, মেয়েটিকে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর তাকে ওই ১০ বছর বয়সি ছেলেটা জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। 

পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত নাবালক প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। অন্যদিকে ওই মেয়েটি স্কুলের প্লে গ্রুপে পড়াশোনা করে। এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

তবে এর আগে শিশুদের সঙ্গে যৌন নির্যাতনের একাধিক অভিযোগের কথা শোনা গেছে। তবে উত্তর প্রদেশে যে ঘটনা হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। এর আগে তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরের এক পিএইচডি স্কলারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার বয়স ৩৫ বছর। বাচ্চাদের ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। ইন্টারপোল ডেটাবেস থেকে শিশুদের যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়গুলি পেয়েছিল সিবিআই। এরপর ডিজিটাল ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানতে পারে তাঞ্জাভুর জেলাতে এই ঘটনা হয়েছে। তারপরেই হানা দেন গোয়েন্দারা।

এরপর এজেন্সির তরফে অভিযুক্তের বাড়ির চত্বরে তল্লাশি চালানো হয়। এরপরই একাধিক ইলেকট্রনিক গেজেট থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নানা ধরনের আপত্তিকর উপাদানের সন্ধান পায়।

অভিযোগ উঠেছে ওই যুবক গত চার বছর ধরে একটি শিশুকে যৌন হেনস্থা করত। এরপর গুগল অ্য়াকাউন্টে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিয়ো আপলোড করা হত। আধিকারিকদের দাবি, অভিযুক্ত যুবক দুই নাবালক, নাবালিকাকে যৌন কাজ করতে বাধ্য করেছিল। এরপর সেই ঘটনার ভিডিয়ো ও ছবি তুলে রেখেছিল ওই যুবক। এরপর আরও মেয়েকে আনার জন্য় সে চাপ দিত। না হলে ইন্টারনেটে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত সে।

ইন্টারপোল ডেটাবেস থেকে সিবিআই প্রথমে এই তথ্যগুলির সন্ধান পায়। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবক পিএইচডি স্কলার। উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু তারপরেও সে কেন এই ঘটনা ঘটাত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত সে শিশুদের টার্গেট করত। এরপর তাদের যৌন হেনস্থা করত। আর বাইরে বলে দিলেই ফল ভালো হবে না বলে শাসাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল সে।