১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ০৯:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন


স্কুলে টিপ পরায় শিক্ষকের চড়, অপমানে দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৭-২০২৩
স্কুলে টিপ পরায় শিক্ষকের চড়, অপমানে  দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা স্কুলে টিপ পরায় শিক্ষকের চড়, অপমানে দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা


স্কুলে টিপ পরে যাওয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৭) চড় মেরেছিল স্কুলের শিক্ষক। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে স্কুল ছাত্রী। মঙ্গলবার ভারতের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে এ ঘটনা ঘটে । ওই ছাত্রী তেতুলমারির সেন্ট জেভিয়ার্সের পড়ুয়া ছিল।

জানা গেছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তবে কিছুক্ষণ পরই সে বাড়িতে ফিরে আসে। পরে আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায়, স্কুলের অধ্যক্ষ এবং অভিযুক্ত  শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানায়, টিপ পরার জন্য স্কুলে সবার সামনে চড় মারা হয়েছিল যুবতীকে। বাড়ি ফিরে  নিজের ইউনিফর্মের পকেটে একটি সুইসাইড নোট রেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। 

তেতুলমারি থানার ইনচার্জ আশিস যাদব সংবাদমাধ্যম কর্মীদের বলেন 'মেয়েটি একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছে। তাতে  এ ঘটনার জন্য স্কুলের শিক্ষককে দায়ী করেছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা শিক্ষক ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছি এবং তাদের দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।'

জানা গেছে, মৃত ছাত্রীর সুইসাইড নোটে অভিযোগ করা হয়েছে, স্কুলে সবার সামনে তাকে থাপ্পড় মারা হয়েছিল এবং স্কুল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। সেই পড়ুয়া লেখেন, তিনি এই অপমান সহ্য করতে পারছিলেন না এবং সে কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি শিক্ষক এবং স্কুলের অধ্যক্ষকেই 'তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী' করেন। সেই নোটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়ে যান তিনি।

মৃত যুবতীর মা বলেন, 'আমার মেয়ে একটি টিপ পরেছিল। কিন্তু শিক্ষককে দেখে সে তা ফেলে দেয়। তাও সবার সামনে তাকে দুবার থাপ্পড় মারে সেই শিক্ষক। এরপর আমার মেয়ে প্রিন্সিপালের কাছে যায়। কিন্তু তিনিও তার কোনও কথা শোনেননি। তাকে চলে যেতে বলা হয়। এরপর মেয়ে আমার কাছে আসে। আমি স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালকে অনুরোধ করেছিলাম। বলেছিলাম শিক্ষকের কাছে আমি ক্ষমা চাইব। কিন্তু, আমাদের অনুরোধে কর্ণপাত করা হয়নি। আমি আমার মেয়েকে সান্ত্বনা দিলাম। বাড়িতে এসে দেখলাম সে একটি কাগজে কিছু লিখতে শুরু করল। আমি ভাবি পড়াশোনা করছে। এর আধ ঘণ্টার মধ্যে চলে গেল সে। আমার স্বামী নেই। আমার অন্য দুই ছেলেও এই স্কুলেই পড়েছিল। আর কয়েক মাসে আমার মেয়েরও এই স্কুল থেকে পাশ করে বেরোনের কথা ছিল।'