নিজ বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ। সেই অভিযুক্ত বাবাকে ৩৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়গ্রাম আদালত।  ২০১৮ সালের ঘটনা। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল থানা এলাকায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণের  ঘটনাকে কেন্দ্র করে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। সেই বছরই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল নন্দ সিংয়ের বিরুদ্ধে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দর স্ত্রী মারা গেছে। ১৫ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে থাকত নন্দ। ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় সে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। 

সেদিন মেয়ে তার বাবাকে ভাত বেড়ে দিয়েছিল। এরপর সেই ভাত খেয়ে উঠে সেই মেয়েকেই ধর্ষণ করেছিল বাবা। পরে সেই মেয়ে বেরিয়ে তার জেঠিমাকে বিষয়টি জানায়। প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে মারধর করে নন্দকে। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। 

আদালত জানিয়েছে, এরকম ঘটনা হলে ছেলে মেয়েরাও তার বাবা মাকে বিশ্বাস করতে পারবে না। এই ঘটনাকে বিরলতম ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে মোট ১৪ জনের কাছ থেকে সাক্ষ্য নিয়েছিল আদালত। এরপরই সব দিক বিচার বিবেচনা করে এই মামলায় বাবা নন্দ সিংকে আদালত সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। 

প্রসঙ্গত ঘটনার পরেই ১৫ বছর বয়সি ওই কন্যা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হয়। তবে এতদিনে বিচার পেল মেয়েটি। মেয়েকে ধর্ষণের কঠোর শাস্তি পেল বাবা। সেই অভিযুক্ত বাবাকে ৩৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়গ্রাম আদালত। আদালতের এই রায়কে কেন্দ্র করে ব্যপক প্রশংসার ঝড় উঠেছে ঝাড়গ্রামে।