১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ০১:৪৯:২১ অপরাহ্ন


মোংলায় ৪০০ কেজি কাঁকড়াসহ ৬ জেলে আটক, জরিমানা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৭-২০২৩
মোংলায় ৪০০ কেজি কাঁকড়াসহ ৬ জেলে আটক, জরিমানা উদ্ধার কাঁকড়া ও আটক জেলেরা। ছবি: সময় সংবাদ


মোংলায় সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণ করে তা পাচারের সময় ৬ জেলেকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। আটকদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২২ জুলাই) গভীর রাতে পশুর নদীর বন বিভাগের ঢাংমারী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ বক্সে প্রায় ৪০০ কেজি কাঁকড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

আটকরা হলেন, সোনাইলতলা ইউনিয়নের উলুবুনিয়া গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিবরিয়া শেখের ছেলে আইয়ুব আলী শেখ (২০), একই এলাকার ফিরোজ গাজীর ছেলে নাইম গাজী (২২), সালাম শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪০), মৃত এজাহার গাজীর ছেলে ওসমান গাজী (২৩), একই ইউনিয়নের পেড়িখালী গ্রামের মৃত ইউছুপ আলী গাজীর ছেলে রব্বানি গাজী (৫৫) ও আজিজ গাইনের ছেলে জাহিদুল গাইন (১৯)।

পুলিশ জানায়, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ, কাঁকড়া ধরা ও পরিবহন এবং সকল দর্শনীয় স্পটে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু অবৈধ পথে একদল দুর্বৃত্ত জেলে বনের গহীনে প্রবেশ করে এ সব কাঁকড়া আহরণ করে তা পাচার করছে; এমন খবর আসে পুলিশ ও বন বিভাগের কাছে।

গোপন সংবাদের সূত্র ধরে শুক্রবার গভীর রাতে পশুর নদীতে অভিযান চালায় মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, বন বিভাগের ঢাংমারী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা সাইফুল বারিসহ কয়েকজন বনরক্ষী ও মোংলা থানার একদল পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কাঁকড়া নিয়ে দুর্বৃত্তরা দ্রুত নৌযান চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে ৬ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৪০০ কেজি কাঁকড়া জব্দ করা হয়েছে। তবে তাদের বহনকরা কার্গোজাহাজটি দ্রুত চালিয়ে যাওয়ায় সেটি আটক করা সম্ভব হয়নি।

শনিবার দুপুরে আটকদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী মেজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায় এক মাসের জেল দেয়া হয়েছে। তবে তারা জরিমানা ও মুসলেকা দিয়ে এবারের মতো ছাড়া পায়। এবং জব্দ কাঁকড়া বন বিভাগ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, আটক জেলেরা তাদের ভুল স্বীকার করে সাধারণ ক্ষমা চাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বাসিয়ে বন আইনে তাদের জরিমানা করা হয়েছে। মুসলেকা দিয়েছে, তারা সরকারের আইন আর অমান্য করবে না।

মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, ‘সুন্দরবনের বনজ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দুর্বৃত্ত বা জেলেদের বনে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। এরপরেও তারা বনের কোনো সম্পদ নষ্ট করতে চাইলে প্রশাসন তা কঠোরভাবে দমন করবে।’