১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ০৭:৪৫:০১ অপরাহ্ন


যেভাবে মানুষের সাথে কথা বলেন নবজাতক নবি ঈসা (আ.)
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৯-২০২৩
যেভাবে মানুষের সাথে কথা বলেন নবজাতক নবি ঈসা (আ.) ফাইল ফটো


আল্লাহর নবি ঈসার (আ.) জন্ম হয়েছিল অলৌকিকভাবে। মায়ের গর্ভে তিনি এসেছিলেন বাবা ছাড়াই। আল্লাহ একটি নির্দেশের মাধ্যমে কুমারী মারিয়ামের (আ.) গর্ভে তাকে সৃষ্টি করেন। আল্লাহ তাকে নবি বানিয়েছিলেন এবং অনেক মুজিজা বা অলৌকিক ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্যও দান করেছিলেন, যেন মানুষ বুঝতে পারে তিনি আল্লাহর প্রেরিত নবি এবং তার মা পুণ্যবতী মারিয়াম সম্পর্কে কোনো অযাচিত ধারণা না করে।

তার একটি অলৌকিক বৈশিষ্ট্য হলো তিনি কথা বলার বয়স হওয়ার আগেই মানুষের সাথে কথা বলেছিলেন। কোরআনে হযরত ঈসার (সা.) এ অলৌকিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে আল্লাহ বলেছেন,

اِذۡ قَالَتِ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یٰمَرۡیَمُ اِنَّ اللّٰهَ یُبَشِّرُکِ بِکَلِمَۃٍ مِّنۡهُ اسۡمُهُ الۡمَسِیۡحُ عِیۡسَی ابۡنُ مَرۡیَمَ وَجِیۡهًا فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ وَ مِنَ الۡمُقَرَّبِیۡنَ وَ یُکَلِّمُ النَّاسَ فِی الۡمَهۡدِ وَ کَهۡلًا وَّ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ

স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বলল, হে মারিয়াম, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে একটি কালেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম মসিহ ঈসা ইবনে মারিয়াম, যে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত এবং নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। সে মানুষের সাথে কথা বলবে দোলনায় ও পরিণত বয়সে এবং সে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা আলে ইমরান: ৪৫, ৪৬)

তার মা মারিয়াম (আ.) যখন তাকে নিয়ে তার আত্মীয় স্বজনের কাছে আসেন, তারা শিশু ঈসার পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকে, মারিয়ামকে (আ.) দোষারোপ করতে থাকে। মারিয়াম (আ.) তখন নিজে চুপ থেকে কোলের শিশুকে ইশারায় দেখিয়ে দেন যে আপনারা তাকেই তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। তারা বলে, আমরা এতটুকু একটা বাচ্চার সাথে কীভাবে কথা বলবো! ঈসা (আ.) তখন বলে ওঠেন,

اِنِّیۡ عَبۡدُ اللّٰهِ اٰتٰنِیَ الۡکِتٰبَ وَ جَعَلَنِیۡ نَبِیًّا وَّ جَعَلَنِیۡ مُبٰرَکًا اَیۡنَ مَا کُنۡتُ ۪ وَ اَوۡصٰنِیۡ بِالصَّلٰوۃِ وَ الزَّکٰوۃِ مَا دُمۡتُ حَیًّا وَّ بَرًّۢا بِوَالِدَتِیۡ ۫ وَ لَمۡ یَجۡعَلۡنِیۡ جَبَّارًا شَقِیًّا وَ السَّلٰمُ عَلَیَّ یَوۡمَ وُلِدۡتُّ وَ یَوۡمَ اَمُوۡتُ وَ یَوۡمَ اُبۡعَثُ حَیًّا

আমি আল্লাহর বান্দা; তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আমাকে নবি বানিয়েছেন, যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন এবং যতদিন আমি জীবিত থাকি তিনি আমাকে সালাত ও যাকাত আদায় করতে আদেশ করেছেন। আর আমাকে মায়ের প্রতি সদাচারী করেছেন, উদ্ধত ও অহংকারী করেননি। আর আমার ওপর শান্তি যেদিন আমি জন্মেছি, যেদিন আমি মারা যাব এবং যেদিন পুনরায় জীবিত করে আমাকে ওঠানো হবে। (সুরা মারিয়াম: ৩০-৩৩)