০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৯:৫১:৩৪ অপরাহ্ন


বাথরুমের গোপন অভ্যাসেই মিলবে ব্যক্তিত্বের পরিচয় ! দাবি মনোবিদরা
তুরজিম তানজিম :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৯-২০২৩
বাথরুমের গোপন অভ্যাসেই মিলবে ব্যক্তিত্বের পরিচয় ! দাবি মনোবিদরা বাথরুমের গোপন অভ্যাসেই মিলবে ব্যক্তিত্বের পরিচয় ! দাবি মনোবিদরা


আমরা স্নানঘরে ঢুকি নিজেদের পরিষ্কার করতেই কিন্তু সবাই তো একভাবে নিজেকে পরিষ্কার করি না। কেউ মাথার চুল থেকে পরিষ্কার করা শুরু করি তো কেউ মুখ কেউবা গোপনাঙ্গ। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, স্নানের সময় কোথায় হাত যায় সবার আগে? সেই তথ্যই, জানিয়ে দিতে পারে আপনার বিষয়ে অনেক গোপন কথা, যা হয়ত আপনি ভাবতেও পারবেন না। তার জন্য যে তার স্নানের সময় আপনাকে উপস্থিত থাকতে হবে এমন শর্ত নেই। স্নান ছাড়া, দিনের অন্যান্য সময়েও ভাল করে লক্ষ করতে হবে সেই ব্যাক্তি বা মহিলা শরীরের কোন অংশ পরিষ্কার রাখার জন্য বেশি চেষ্টা করছেন।

শুরু করা যাক মাথার চুল দিয়ে। শরীরের একদম ওপরের অংশ থেকে পরিষ্কার করা শুরু করেন যারা, তারা সাধারণত বিজ্ঞ হন। টাকা-পয়সা, সম্পত্তির থেকেও, তারা জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেন। বেশিরভাগ বিষয়েই তাদের একটি জোরদার মতামত প্রতিষ্ঠা করে থাকেন। বাস্তব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান নিয়ে চলেন এবং নিয়মনীতি ও সময়ের গুরুত্ব দেন, মেনে চলেন। সময়মতো সব কাজ সম্পূর্ণ করে থাকেন।

যদি কেউ প্রথমেই নিজের মুখ পরিষ্কার করেন, তাহলে তার কাছে ‘দেখতে কেমন’ বিষয়টা গুরুত্ব পায়। লোকে আপনাকে কিভাবে দেখবে সেটা নিয়েও ভাবেন আপনি। তাই কোনও মানুষ প্রথম আপনার শরীরের যে অঙ্গ দেখতে পায় সেটির যত্ন করেন আপনি। এমনকি এর ওপরই নির্ভর করে আপনার সম্পর্কগুলোও। আপনি কেমন দেখতে লাগছেন সেটা লোকজঞ্জের পছন্দ না হলে, সেটা আপনাকে বিব্রত করে, আপনি দূড়ান্ত হীনমন্যতা ও মনোকষ্টে ভোগেন। বুঝতে হবে তার অর্থের বিষয়ে লোভ রয়েছে। এবং তিনি সম্পত্তির বিষয়ে খুব সতর্ক। এইসব মানুষদের সাধারণত অন্যদের সাথে মতপার্থক্য দেখা যায় বেশি।

জীবনে অনেক দায় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে চলা মানুষজন স্নানের সময় সবার আগে তাদের কাঁধ পরিষ্কার করে থাকেন। তারা সাধারণত তাদের কাজে আত্মনিয়োজিত থাকেন। তাদের দায়িত্ব কর্তব্যের বোঝা তাদের মাওসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিলেও তারা সাধারণত জীবনে কখনও সেই পথ থেকে সরে আসেন না। তবে এরা যেমন চূড়ান্ত বিশ্বস্ত হন, তেমনই ভয়ঙ্কর বিদ্রোহীও হয়ে উঠতে পারেন সময়ে সময়ে।

অনেকেই কিন্তু স্নানে ঢুকেই সবার আগে কাঁধ ও হাতের সন্ধি অর্থাৎ বাহুমূল আগে পরিষ্কার করেন। মনোবিদরা বলছেন, এরা সাধারণত খুবই ভরসাযোগ্য ও মনোযোগী হন। আপনার কথা মন দিয়ে শুনবেন বা বাজারে গেলে ফর্দ মিলিয়ে সব এনে দেবেন এরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এরা চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস হীনতায় ভোগেন। তবে মনের দিক থেকে এরা খুবই সরল-সোজা প্রকৃতির।

কিছু মানুষ, সারাজীবন প্রায় সকলের কাছেন, সৎ এবং বিশ্বস্ত থাকেন। মনোবিদরা বলছেন, তারা সাধারণত স্নানের সময় তাদের বুকের অংশ প্রথমে পরিষ্কার করেন। তারা সাধারণত কথা রাখেন। সবার ভাল চান। আর সবার ভাল করতে গিয়ে তারা সমস্যাতেও পড়েন। মানসিক যন্ত্রণাতেও থাকেন।

লাজুক মানুষেরা সাধারণত স্নানের সময় সবার আগে নিজের গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করে থাকেন। এরা, লাজুক এবং অন্তর্মুখী ধরনের হন। চট করে কারো নজর এঁদের ওপর পড়ুক তারা চান না। অনেক লোকজনের ভিড়ে মিশে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। আপনি খোলামেলা, অকপট এবং আন্তরিক। নিজের মতামত প্রতিষ্ঠার জন্য তর্ক করা আপনার সাজে না। বরং লোকে যাতে আপনার সাহচর্যে খুশি থাকতে পারে, সেটাই আপনার চেষ্টা করেন।

কিন্তু যারা একেবারেই গতে বাঁধা ব্যাপার স্যাপার পছন্দ করেন না? অর্থাৎ স্নানঘরে, শরীরের যে কোনও অংশ থেকেই পরিষ্কার শুরু করেন যারা, তারা কিন্তু একটু দুঃসাহসিক গোছেরই হন। তারা সাধারণত একঘেয়ে জীবন পছন্দ করেন না, বিশেষ করে সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে। তবে এরা সাধারণত খুবই নম্র স্বভাবের হন। স্নানের সময় শরীরের কোন অঙ্গ আহে পরিষ্কার করেন সেই বিষয়ে সামগ্রিকভাবে এমনটাই জানাচ্ছেন মনোবিদরা।