রিসর্টের একটি ঘরে পাওয়া গেল তিনটি মৃতদেহ। শনিবার সকালে কর্ণাটকের কাগোডলু গ্রামের একটি রিসর্টে ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ১১ বছর বয়সী কিশোরী কন্যাকে হত্যা করেছে তার বাবা মা। পরে নিজেরাও আত্মঘাতী হন। কিন্তু কেন নিজেদের এভাবে শেষ করে ফেলল গোটা পরিবার।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কেরালার কোল্লামের বাসিন্দা ৪৩ বছর বয়সী বিনোদ বাবুসেনান, তার ৩৮ বছর বয়সী স্ত্রী জিবি আব্রাহাম এবং তাদের মেয়ে জেন মারিয়া জ্যাকব। এই তিনজনকেই রিসর্ট থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোট।
সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে, পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণেই এমন চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে বিনোদ বাবুসেনান ও তাঁর স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মৃত এই দম্পতির কোল্লামের কাছে ব্যবসা ছিল। কাগোডলু গ্রামের ওই রিসর্টে বেড়াতে এসেই এমন চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন ওই দম্পতি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি এসইউভিতে করে রিসোর্টে পৌঁছেছিল তিনজনের পরিবার। সন্ধ্যা ৬ টার দিকেও তাদের কটেজে দেখা যায়। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর পরিবারটি রিসোর্টে ঘুরতে বের হয়। রিসোর্টের ম্যানেজার আনন্দ জানালেন, বেড়াতে আসার পরও পরিবারটির ব্যবহারের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছুই দেখা যায়নি। তাঁদের খোশমেজাজেই দেখা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতের খাবার খেয়ে ফিরে আসার আগে পরিবারটি রিসর্টের কাছের একটি দোকানেও গিয়েছিল। বিনোদ রিসোর্টের কর্মীদের বলেছিলেন যে, তারা শনিবার সকাল ১০ টায় চেক আউট করবেন। শনিবার সকালে কাউকে দেখতে না পেয়ে রিসর্টের কর্মীরা ডাকাডাকি করেন। দরজায় টোকা দিয়ে , ধাক্কা দিয়েও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। কুটিরের বাইরে পরিবারের চপ্পল পড়ে থাকতে দেখেন, যার ফলে তাঁদের সন্দেহ হয়। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে জানলা দিয়ে দম্পতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়।