৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:১৩:২৬ পূর্বাহ্ন


প্রেমিকা অন্যত্র বিয়ে করায় দুই শিশুকে খুন করলো প্রেমিক
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৪-২০২৪
প্রেমিকা অন্যত্র বিয়ে করায় দুই শিশুকে খুন করলো প্রেমিক প্রেমিকা অন্যত্র বিয়ে করায় দুই শিশুকে খুন করলো প্রেমিক


প্রেমিকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর সংসার। ওই যুবতীর দুই সন্তানকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরের এক লরিচালকের কাণ্ডে শোরগোল এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই নাবালককে পাথর দিয়ে আঘাত করে ধর্মপুরীর জঙ্গলে ফেলে এসেছিলেন অভিযুক্ত। পুলিশের হাতে পাকড়াওয়ের পরে পালিয়ে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৩৬ বছরের ওই যুবক।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বেঙ্কটেসন। কয়েক বছর আগে বি প্রিয়া নামে এক তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ওই লরিচালক। কিন্তু কোনও কারণে সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। প্রিয়া অন্য এক জনকে বিয়ে করেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে ভরা সংসার ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার আচমকা প্রিয়ার দুই সন্তান নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

তদন্তকারীরা খোঁজখবর করে জানতে পারেন তিন বছরের দর্শন এবং ছয় বছর বয়সি যশবন্তকে আসলে অপহরণ করেছেন তাদের মায়ের প্রাক্তন প্রেমিক। তল্লাশি চালিয়ে যখন পুলিশ তাঁদের খোঁজ পায়, দুটি শিশুর এক জন তখন আর বেঁচে নেই। অভিযোগ, মোটরবাইকে করে দুটি শিশুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বেঙ্কটেসন। একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকার দুই সন্তানকে খুনের চেষ্টা করেন তিনি। দুই নাবালকের মাথায় ভারী পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাতে ছোট ছেলেটির মৃত্যু হয়। যশবন্তকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।

এর মধ্যে দুই শিশুকে হত্যায় অভিযুক্ত লরিচালককেও খুঁজে বার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর অভিযুক্তকে আদালত হাজির করানো হলে তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। থানা থেকে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যখন ওই যুবককে হস্তান্তর করা হচ্ছে, তখনই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দৌড় দেন তিনি। পিছু নেয় পুলিশও। তদন্তকারীদের দাবি, রেললাইন ধরে দৌড়তে দৌড়তে একটি বিদ্যুতের খুঁটি জড়িয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বেঙ্কটেসন। পুলিশ কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করে। কিন্তু শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে অভিযুক্তের। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।