২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০৯:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন


হারাম শরিফে প্রবেশের আদব
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০২-২০২৪
হারাম শরিফে প্রবেশের আদব ফাইল ফটো


মক্কাসহ মক্কার আশপাশের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলকে ইসলামে আল-হারামুল-মাক্কী বা মক্কার হারাম শরিফ বলা হয়। ইসলামে হারাম শরিফ বিশেষ সম্মানিত স্থান। হারাম শরিফে মুশরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেখানে হত্যা, মারামারি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দ্বন্দ্ব-কলহ করা হারাম। হারামের সীমানায় কোনো পশু-পাখি, জীব-জন্তু বা শিকারকে হত্যা করা বা তাড়িয়ে দেওয়া হারাম। এমনকি হারামের অভ্যন্তরে কাটাযুক্ত গাছ ও ঘাস কাটাও হারাম।

মক্কার পশ্চিম দিকে শুমাইসী (হোদায়বিয়া) পর্যন্ত হারাম বিস্তৃত যা মসজিদে হারাম থেকে জেদ্দার রাস্তায় ২২ কি: মি: দূরে অবস্থিত। পূর্ব দিকে হারাম বিস্তৃত তায়েফের রাস্তায় উরানা উপত্যকার পশ্চিম পার্শ্ব পর্যন্ত যা মসজিদে হারাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবিস্থত। উত্তর দিকে হারামের সীমা ‘তানঈম’ পর্যন্ত; যা মসজিদে হারাম থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দক্ষিণ দিকে মসজিদে হারাম থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত হারাম এলাকা গণ্য হয়।

এ এলাকায় প্রবেশের সময় বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তেগফার করা, বিনয় ও আদবের সঙ্গে তালবিয়া ও দরুদ পাঠ করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক। জেদ্দা থেকে মক্কায় গেলে শুমাইসি বা হোদায়বিয়া থেকে হারামের সীমা শুরু হয়। সম্ভব হলে এখানে দুরাকাত নামাজ পড়ে নেওয়া উচিত।

হারামে প্রবেশের আগে গোসল করে নেওয়া মুস্তাহাব। বর্তমানে গাড়িচালকরা যেহেতু রাস্তায় গোসলের সুযোগ দেয় না, তাই মক্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে গোসল করে নেওয়া উচিত।

মসজিদে হারামে প্রবেশের সময় মসজিদে প্রবেশের সুন্নতগুলো পালন করা উচিত। যে কোনো মসজিদে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ পড়া, দরুদ পাঠ করা এবং ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রহমাতিক’ (হে আল্লাহ, আমার জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজা খুলে দিন) পড়া এবং ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা সুন্নত।

বর্ণিত রয়েছে, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাবা দেখে হাত তুলে এ দোয়া করেছিলেন,

اَللهُمَّ زِدْ هَذَا الْبَيْتَ تَعْظِيْمًا وَ تَشْرِيْفًا وَ تَكْرِيْمًا وَ مَهَابَةً وَ زِدْ مَنْ شَرَّفَهُ وَ كَرَّمَهُ مِمَّنْ حَجَّهُ اَوِ اعْتُمَرَهُ تَشْرِيْفًا وَ تَكْرِيْمًا وَ تَعْظِيْمًا وَ بِرًّا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা যিদ হাজাল বাইতা তা’জিমান ওয়া তাশরিফান ওয়া তাকরিমান ওয়া মাহাবাতান; ওয়া যিদ মান শাররাফাহু, ওয়া কাররামাহু মিম্মান হাজ্জাহু আওয়ি’তামারাহু তাশরিফান ওয়া তাকরিমান ওয়া তাজিমান

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি এ ঘরের মর্যাদা ও মহিমা এবং সম্মান ও সমীহ বৃদ্ধি করে দিন। যারা হজ করে, ওমরা করে এবং এই ঘরকে তাযিম ও সম্মান করে তাদেরও ইজ্জত, সম্মান ও মর্যাদা ও সওয়াব বাড়িয়ে দিন। (তাবরানি)

মুহাদ্দিসরা এ দোয়ার সূত্র বা সনদকে বেশ দুর্বল বলেছেন। তবে নবিজি কাবা দেখে হাত তুলে দোয়া করেছিলেন এটা নির্ভরযোগ্য সনদে বর্ণিত রয়েছে। তাই প্রথম কাবা চোখে পড়লে হাত তুলে এ দোয়া বা যে কোনো ভালো দোয়া পড়া যেতে পারে। মাতৃভাষায় নিজের ইচ্ছা মতো দোয়া করতে পারেন। এটি দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত।