২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০২:২০:২৯ অপরাহ্ন


মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২৪
মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক


১০ হাজার দিলে ১লাখ টাকা, ৫০ হাজার দিলে ৫লাখ এবং ১লাখ টাকা দিলে ১০লাখ টাকা লোন দিবে “গ্র্যান্ড গ্রুপ অব-ইন্ডাট্রিজ” নামের একটি অফিসের প্রোপাইটার। এমন লোভনীয় অফার পেয়ে সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলো অফিসটিতে। লোন পাবার আশায় বিভিন্ন অংকের টাকা জমা দেয় লোন প্রত্যাশীরা। এই হাইহাই অফিসটি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ৩০/১পশ্চিম ছোটবনগ্রামের ৩য় তলায় অবস্থিত। কিন্তু দুই মাস আড়াইমাস ঘুরেও লোন নামের সোনার হরিণটা দেয় না ওই অফিসের প্রোপাইটার মোঃ তাওহীদ খান (৪০)। তিনি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সাধুর মোড় এলাকার মৃত রিজভী নাহিদ খানের ছেলে। 

বুধবার বিকালে ভুক্তভোগী রিপন, লিটন আলী, জাকির হোসেন নামের তিনজন লোন প্রত্যাশী ওই অফিসে যায় তাওহীদ খানের নিকট। তারা বলেন, আড়াই মাস যাবত ঘুরছি। লোনের প্রয়োজন নেই, আমাদের জমাকৃত আসল টাকাটা ফেরত দিন। এ সময় কোম্পানীর মালিক তাদের সাফ জানান, আপনাদের লোন প্রসেসিং করা হয়েছে। জামানতের টাকা ফেরত দেয়া যাবে না। এ নিয়ে গ্রহক ও কোম্পানী মালিকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরই মধ্যে অন্যান্য প্রায় ৩০/৩৫জন গ্রাহকরা সেখানে লোনের টাকা নিতে উপস্থিত হন লোনের টাকা নিতে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাংবাদিকদের ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। 

সরেজমিনে গিয়ে “গ্র্যান্ড গ্রুপ অব-ইন্ডাট্রিজ” এর প্রোপাইটার মোঃ তাওহীদ খানের নিকট সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের একটি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া অন্য কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। ফলে সংবাদিকদের সন্দেহ হয়। বুঝতে পারেন এটা একটি ভুয়া কোম্পানী হটাৎ পালিয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি র‌্যাব-৫, রাজশাহী মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক ও কোম্পনী কমান্ডারকে মুঠোফোনে অবগত করা হয়। খবর র‌্যাব-৫, এর কর্মকর্তাগণ তাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ৩০/১পশ্চিম ছোটবনগ্রাম ৩য় তলায় উপস্থিত হন।  এ সময় তারা ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে সার্বিক বিষয় জানতে পারেন। একই সময় ওই অফিসের চারজন যুবতী ও ৪জন যুবক স্টাফ র‌্যাবকে জানায় তারা কেউ ২মাস কেউ ৩মান যাবত বেতন পান না। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে কোম্পনীর মালিক সন্তোশ জনক জবাব ও কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় অফিসে তালা মেরে প্রোঃ মোঃ তাওহীদ খানকে আটক করে নিয়ে যায় র‌্যাব। এদিন ভুক্তভোগীদের দায়ের করা প্রতারণা মামলায় দিনগত রাত দেড়টায় তাওহীদ খানকে চন্দ্রীমা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে চন্দ্রীমা থানা পুলিশ।