০৮ মে ২০২৪, বুধবার, ১২:০২:২৩ পূর্বাহ্ন


ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের নেতিবাচক প্রবণতা বাড়ছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৪-২০২৪
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের  নেতিবাচক প্রবণতা বাড়ছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের নেতিবাচক প্রবণতা বাড়ছে


চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বেইজিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে বৈঠকে বলেছেন, ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন নেতিবাচক প্রবণতা এখনও বাড়ছে, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বৈধ উন্নয়ন অধিকারকে অস্বীকার করে চলেছে।

তিনি বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রের নেতাদের নেতৃত্বে চীনা-আমেরিকা সম্পর্ক স্থিতিশীল হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংলাপ, সহযোগিতা এবং ইতিবাচক দিকগুলো গতি পাচ্ছে। কিন্তু, অন্যদিকে, চীনা-আমেরিকান সম্পর্কের নেতিবাচক কারণগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি বাড়ছে’। চীনের সেন্ট্রাল টেলিভিশন তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘উন্নয়নের জন্য চীনের বৈধ অধিকার ভিত্তিহীনভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে, যখন চীনের মূল স্বার্থ ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে’। কূটনীতিক যোগ করেছেন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের লাল রেখা অতিক্রম করা উচিত নয়।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা, চীনের উন্নয়নকে দমন করা এবং চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থের ক্ষেত্রে লাল লাইন অতিক্রম করা উচিত নয়’।

ওয়াং ই বলেছেন, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে উপকারী হবে এবং সংঘর্ষ হবে - পারস্পরিকভাবে ক্ষতিকর।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায় এটি দেখার জন্য অপেক্ষা করছে যে, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নেতৃত্ব দেবে, যা একটি জয়-জয় পরিস্থিতি হবে, বা তাদের সম্পর্ক দ্বন্দ্ব বা এমনকি সংঘাতে নিমজ্জিত হবে, যা একটি পরাজয় হবে’। সূত্র : তাস।