২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৮:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন


‘আমাদের দেশ নরকে যাচ্ছে’, গ্রেফতারির পরই আদালত চত্বরে চিৎকার ট্রাম্পের
রিয়াজ উদ্দিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৪-২০২৩
‘আমাদের দেশ নরকে যাচ্ছে’, গ্রেফতারির পরই আদালত চত্বরে চিৎকার ট্রাম্পের ‘আমাদের দেশ নরকে যাচ্ছে’, গ্রেফতারির পরই আদালত চত্বরে চিৎকার ট্রাম্পের


আত্মসমর্পণের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। মঙ্গলবারই পর্নতারকাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতারির নির্দেশ আসার পরই আদালত চত্বরে তীব্র চিৎকার করে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের দেশ নরকে যাচ্ছে। গোটা বিশ্ব আমাদের দেখে হাসছে।”

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোট ৩৪টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আদালত কক্ষে বসে একটিও অপরাধ স্বীকার করেননি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিউ ইয়র্কের ম্যানহ্যাটন কোর্টরুমে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা বলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট। আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি তুলে ধরা হলে তিনি দৃঢ় গলায় বলেন, “নট গিল্টি” (আমি অপরাধী নই)। মামলা চলাকালীন তাঁর চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। 

আদালত থেকে বেরিয়েই জনগণের উদ্দেশে ট্রাম্প চিৎকার করে বলেন, “দেশকে শত্রুদের থেকে বাঁচিয়েছি এটাই আমার অপরাধ। বরাবর অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছি, আর আজ গোটা বিশ্বই এই ঘটনা দেখে হাসছে।” বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করেই ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায় যে দেশ এখন রসাতলে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার ম্যানহ্যাটন কোর্টের বিচারকের নির্দেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গ্রেফতার করে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। এরপরে তাঁকে আদালত কক্ষে নিয়ে আসা হয়। শুনানি শুরু হয় পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলা। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের আগে তিনি পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার আগে তিনি নির্বাচনী তহবিল থেকে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন যাতে ওই পর্ন তারকা তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখেন। তবে মামলার শুনানি শুরু হতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

এদিকে নিউ ইয়র্কে যাতে ক্যাপিটাল হিলের মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে জন্য গতকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছিল আদালত চত্বরকে ঘিরে। আজও রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেখা গেছে। ট্রাম্পের গ্রেফতারির পরে তাঁর সমর্থকরা যাতে হিংসাত্মক আচরণ করতে না পারে সে জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। ইতিমধ্যেই নিউ ইয়র্কের কয়েকটি রাস্তায় ট্রাম্প সমর্থকদের জমায়েত নজরে এসেছে। পাশাপাশি, ট্রাম্পের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তাঁর বিরোধীরাও।